হ্যাংওভার কাটানোর পানীয়গতকাল গিয়েছে বড়দিন। আর সেই উপলক্ষে অনেকেই করেছেন পার্টি। চলেছে দেদার মদ্যপান। যার ফলে সকালে উঠে হ্যাংওভারে ভুগছেন। করছে মাথা ব্যথা। সঙ্গে ল্যাথার্জি গ্রাস করেছে। তাই তারা সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজছেন। আর এই বিষয়টা বুঝে নিয়েই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদারের সঙ্গে। তিনি এমন দু'টি পানীয়ের কথা বললেন, যেগুলি খেলে অনায়াসে হ্যাংওভার কেটে যাবে।
হ্যাংওভার থেকে মুক্তি মিলবে কীভাবে?
এই প্রসঙ্গে মীনাক্ষী মজুমদার বলেন, 'সবার প্রথমে বলব, মদ্যপান শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর জন্য ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া লিভারের বারোটা তো বাজেই। তাই এই পানীয়ের থেকে দূরে থাকাই ভাল। তবে বড়দিনে অনেকেই এই সব বাধা বারণ মানেননি। তারা দেদার খেয়েছেন মদ। যার ফলে হ্যাংওভার হয়েছে। তবে ভাল খবর হল, হ্যাংওভার কাটানো যেতে পারে কিছু পানীয় খেলেই।'
ডাবের জল হল মাস্ট
এই সময় আপনাকে খেতে হবে ডাবের জল। এই পানীয়ের গুণেই সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন। আসলে এতে রয়েছে ভাল পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটস। যার ফলে শরীরে খনিজের ভারসাম্য ফিরবে। সেই কারণেই হ্যাংওভার কেটে যাবে বলে মনে করেন মীনাক্ষী মজুমদার।
ন্যাশপাতির জুসও সেরা
এই সময় অবশ্যই খেতে হবে ন্যাশপাতির জুস। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর এটা খেলেও হ্যাংওভার অনেকটাই কেটে যায় বলে দেখা গিয়েছে। তাই আজ অবশ্যই ন্যাশপাতির জুস খাওয়ার পরামর্শ দিলেন এই পুষ্টিবিদ।
জল পান চালিয়ে যান
মীনাক্ষী মজুমদার জানালেন, মদ খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। অর্থাৎ জলশূন্যতা তৈরি হয়। তাই এই সমস্যা সমাধানে আপনাকে অবশ্যই জল পান করতে হবে। এই সময় জল খেলেই অনায়াসে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে পারবেন। কেটে যাবে হ্যাংওভার।
লেবু জল নয়
অনেকেই হ্যাংওভার কাটাতে লেবুর জল করে খান। আর সেটাই ভুল করেন। কারণ, লেবুতে রয়েছে অ্যাসিড। তাই লেবু জল খেলে আদতে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। পেতে পারে বমি। তাই এই পানীয় এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন মীনাক্ষী মজুমদার। তার বদলে উপরের পানীয়গুলি খাওয়া শুরু করে দিন।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।