Stomach Gas Removal Remedy: অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে পেট ফাঁপা হওয়ার সমস্যা হওয়াটা সাধারণ ব্যাপার। তবে সাধারণ খাবার গ্রহণের পরেও যদি আপনার পেট ফাঁপা হওয়ার অভিযোগ থাকে, তা হলে সে ব্যাপারটা উপেক্ষা না করে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এটি কোনও রোগের লক্ষণও হতে পারে। যাদের মাঝে মাঝে এই সমস্যাটি মোকাবিলা করতে হয়, তাঁরা বিশেষজ্ঞদের বলা কিছু বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে উপশম পেতে পারেন।
পেট ফাঁপা সমস্যা কেন হয়?
সাধারণ মানুষের তুলনায় কিছু মানুষের পেট ফাঁপার সমস্যা বেশি থাকে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS), খাবার সহ্য না হওয়া, পিরিয়ডের সময়, ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস বা অত্যধিক ফাইবার খাওয়া।
পেট ফাঁপার আরও একটি কারণ ক্ষুদ্রান্ত্র ব্যাকটেরিয়াল ওভারগ্রোথ (SIBO) নামক অন্ত্রের সঙ্গেসম্পর্কিত একটি রোগ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরে, এই ব্যাকটেরিয়াগুলি গাঁজন এবং কার্বোহাইড্রেট খাবার থেকে তৈরি হয়। এবং মিথেন, হাইড্রোজেন এবং হাইড্রোজেন সালফাইডের মতো গ্যাস তৈরি করে।
কীভাবে খাবার খাবেন?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাবার সবসময় ধীরে ধীরে চিবানো উচিত। আপনি যত বেশি খাবার চিবিয়ে খাবেন, আপনার মুখে বাতাস তত কম যাবে। মুখে কম বাতাস মানে আপনার পেট ফাঁপা সমস্যা কম হবে।
জল খাওয়ার নিয়ম
অনেক সময় অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের কারণেও পেট ফুলে যায়। এমন পরিস্থিতি এড়াতে প্রচুর জলপান করুন। বেশি জল শরীরে সঞ্চিত সোডিয়ামের অতিরিক্ত পরিমাণ বের করে দিতে সাহায্য করে।
কেমন খাবার খাবেন?
ডায়েটিশিয়ান বলেছেন যে কম গাঁজনযুক্ত খাবার খেলে SIBO এর লক্ষণগুলি অনুভূত হয় না। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। উচ্চ গাঁজনযুক্ত খাবার যেমন কৃত্রিম মিষ্টি, মটরশুটি, ফুলকপি এবং ব্রকলি পেটে গ্যাস তৈরি করতে কাজ করে। তাই এই সমস্যা এড়াতে এসব জিনিস খাওয়া কমিয়ে দিন।
দু'বার খাবারের মধ্য়ে সময়ের ব্যবধান কী রাখবেন?
ক্ষুদ্রান্ত্র নিজেকে পরিষ্কার রাখার কাজ করে। পাকস্থলীতে যে খাবার হজম হয় না তা ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে বৃহৎ অন্ত্রে যায়। আমরা যখন খাই না, তখন প্রতি দুই ঘণ্টায় এটি ঘটে। এই কাজটি আমাদের পাকস্থলীতে পাওয়া ছোট ব্যাকটেরিয়াকে ভারসাম্য বজায় রাখে। পেটের এই ভারসাম্য বজায় রাখতে যে কোনও কিছু খাওয়ার মধ্যে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন।