লেগেই থাকে সর্দি-কাশি? এগুলি খেলে সুস্থ থাকবেনKali Puja 2025 Immunity Booster: দিওয়ালির পরই হিমেল হাওয়া নেমে এসেছে শহর-গ্রামে। রাতের দিকে শরীরে শিরশিরে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনভর রোদ থাকলেও সকাল-সন্ধ্যার হাওয়ায় স্পষ্ট ঠান্ডার ছোঁয়া। শিশিরে ভিজে যাচ্ছে ঘাস, জানাচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
কিন্তু এই ঋতু পরিবর্তনের সময়ই বাড়ছে সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ। এখন প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এই ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্ত। পুজোর সময় ঠাকুর দেখতে বেরোলে রোদে ঘাম ঝরবে, আবার ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খাওয়া মানেই বিপদ ডেকে আনা। ভিড়ের মধ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণও। তবে কয়েকটি সাধারণ অভ্যাস মেনে চললেই রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
হাত ধোয়ার অভ্যাস:
বাইরে থেকে এসে বা খাওয়ার আগে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। বাইরে থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
অসুস্থতা এড়াতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম। শরীর সুস্থ থাকলে ইমিউন সিস্টেমও শক্ত হয়, ফলে সংক্রমণ সহজে আক্রমণ করতে পারে না।
সঠিক খাবার নির্বাচন:
পুজোর সময় ডায়েটের প্রতি অবহেলা করবেন না। ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, প্রোবায়োটিক ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এই উপাদানগুলি ভাইরাল জ্বর ও ঠান্ডার বিরুদ্ধে বিশেষ কার্যকর।
ভিড় এড়ান, মাস্ক পরুন:
যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। তবে প্যান্ডেল হপিংয়ের সময়ে কোভিড সুরক্ষার নিয়ম মানুন। মাস্ক ব্যবহার করলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
দরজার হাতল, সুইচ, টয়লেট ফ্লাশ, এমনকি মোবাইল ফোন। এই সব জায়গায় সবচেয়ে বেশি জীবাণু জমে। তাই এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং ব্যবহারের পর হাত ধুয়ে ফেলুন। শীতের আগমনে পুজোর আনন্দ যেমন দ্বিগুণ হচ্ছে, তেমনই সচেতন থাকলেই শরীরও থাকবে সুস্থ।