কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিকঅবশেষে শীত পড়েছে। তাপমাত্রা কমেছে অনেকটাই। আর এমন পরিস্থিতিতেই অনেক ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার ফলে অসংখ্য মানুষ কাশিতে ভুগছেন। তবে মাথায় রাখতে হবে, ভাইরাল কাশিতে কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ওষুধ খেয়ে লাভ হয় না। উল্টে ক্ষতির থাকে আশঙ্কা।
এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র বলেন, 'অনেকেই কাশি দুই-এক দিন থাকলেই ওষুধের দোকানে বলে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খান। আর এই ভুলটা করার জন্য তাদের শরীরই ভোগে। ওই ওষুধটি তার শরীরে আর পরবর্তী সময় কাজ করতে চায় না। এই সমস্যাকে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। আর এটা খুবই ভয়ঙ্কর সমস্যা।'
তবে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা ভাইরাস দিয়ে শুরু হলেও পরে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। সেই সব ক্ষেত্রে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন বলে জানালেন ডাঃ মিত্র।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে বোঝা যাবে?
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ সম্পর্কে জানালেন ডাঃ মিত্র। আর সেগুলি হল-
১. জ্বর দিনের পর দিন বাড়তে থাকা
২. খুব কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা
৩. অনবরত কাশি
৪. কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট
৫. কফের রং হলুদ, সবুজ বা কালো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি
তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে আর বাড়িতে বসে থাকবেন না। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন নিশ্চয়ই। সেই ওষুধটি খেতে হবে। আর কোনওভাবেই কোর্স শেষ হওয়ার আগে এটি বন্ধ করবেন না। তাতেও রেজিস্ট্যান্স হতে পারে। বরং যত দিন চিকিৎসক যতগুলি ওষুধ খেতে বলেছেন, সেই নিয়ম মেনেই খান। তাতেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। কমে যাবে সমস্যা।
কোন কোন টেস্ট জরুরি?
ডাঃ মিত্র বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে চেস্ট এক্স রে এবং কফ কালচার দেওয়া হয়। তারপর প্রয়োজন মতো অন্যান্য টেস্ট দেওয়া হয় বলে জানালেন তিনি।
সাধারণ কাশিতে অ্যান্টিবায়োটিক নয়
কাশি যদি এমনি হয়, তাহলে কোনও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু শাক, সবজি, ফল, ডিম, মাছ, মাংস খেলেই সমস্যা কমে যাবে বলে জানালেন ডাঃ মিত্র। পাশাপাশি প্রয়োজনে নিতে বললেন স্টিম। তাতেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।