Post Fever Fatigue: জ্বর সেরে গেলেও কাটছে না ক্লান্তি, কী করবেন? জানালেন নামী ডাক্তার

বাড়ছে শীত। আর এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি জ্বরজ্বালা লেগেই রয়েছে। মূলত ভাইরাল ফিভারই হচ্ছে। জ্বর উঠে যাচ্ছে ১০২, ১০৩ ডিগ্রি। তারপর নিজের মতো ৫ থেকে ৭ দিন থাকার পর সেরেও যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও কাটছে না দুর্বলতা। যার ফলে কাজ করতে মন চাইছে না। সারাদিন শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে। এখন প্রশ্ন হল, এমনটা হলে ঠিক কী করা উচিত? জ্বরের পর ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার রাস্তাটা ঠিক কী? আর সেই উত্তরটা দিলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল।

Advertisement
জ্বর সেরে গেলেও কাটছে না ক্লান্তি, কী করবেন? জানালেন নামী ডাক্তারজ্বরের পর ক্লান্তি
হাইলাইটস
  • জ্বরের পরও কাটছে না দুর্বলতা
  • এমনটা হলে ঠিক কী করা উচিত?
  • বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল

বাড়ছে শীত। আর এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি জ্বরজ্বালা লেগেই রয়েছে। মূলত ভাইরাল ফিভারই হচ্ছে। জ্বর উঠে যাচ্ছে ১০২, ১০৩ ডিগ্রি। তারপর নিজের মতো ৫ থেকে ৭ দিন থাকার পর সেরেও যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও কাটছে না দুর্বলতা। যার ফলে কাজ করতে মন চাইছে না। সারাদিন শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে। এখন প্রশ্ন হল, এমনটা হলে ঠিক কী করা উচিত? জ্বরের পর ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার রাস্তাটা ঠিক কী? আর সেই উত্তরটা দিলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল

কেন ক্লান্তি গ্রাস করছে?

এর উত্তরে ডাঃ পাল বলেন, যে কোনও ভাইরাল ফিভার হওয়ার পরই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। আসলে জ্বরের সময় শরীর ভাইরাসের সঙ্গে নিরন্তর লড়াই করে। তারপর একটা সময় ইমিউনিটি জিতে যায়। তখন ভাইরাসের প্রভাব কমে। তবে এই লড়াইটা করতে গিয়ে শরীরের বেশ পরিশ্রম হয়। সেই কারণেই ঘিরে ধরে ক্লান্তি। সহজ ভাষায় বললে এটাই হল ক্লান্তির মূল কারণ।'

ক্লান্তি কাটাতে কী করতে হবে?

জ্বরের পর ক্লান্তি কাটানোর সত্যিই কোনও ওষুধ নেই বলেই জানালেন ডাঃ পাল। তিনি মনে করেন, ক্লান্তি কাটাতে চাইছে রেস্ট হল মাস্ট। শরীরকে বিশ্রাম দিলেই অনেকটা কমে যাবে ক্লান্তি ভাব। দ্রুত সেরে ওঠা যাবে।

পাশাপাশি ডায়েটেও বদল আনা জরুরি বলে মনে করছেন ডাঃ পাল। তিনি বলেন, 'ক্লান্ত লাগলে বেশি করে শাক, সবজি এবং ফল খেতে হবে। এগুলিতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। শুধু তাই নয়, এই সব খাবারে ভাল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। তাই শাক, সবজি এবং ফল খেলে দ্রুত সেরে ওঠা যাবে। ক্লান্তি কেটে যাবে।'

এছাড়া ডায়েটে রাখতে হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। সেক্ষেত্রে চিকেন, মাছ ও ডিম খেতে পারেন। তবে যারা এই সব খাবার খান না তারা সোয়াবিন, টোফু বা ডালে ভরসা রাখুন। তাতেও দেখবেন ক্লান্তি কেটে যাবে। শরীর হয়ে উঠবে চাঙ্গা।

Advertisement

ভিটামিন ওষুধ কি খেতে হবে?

এই সমস্যা সমাধানে ভিটামিন ওষুধ কিছু সময় দেওয়া হয় বলে জানালেন ডাঃ পাল। তবে সেই ওষুধ খেয়ে খুব একটা লাভ হয় না। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়ে থাকে নানা ধরনের হেলথ সাপ্লিমেন্ট। এই ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট খাবারের পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে। তাই খাবারটা ঠিকঠাক খেতে হবে। তাহলেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

POST A COMMENT
Advertisement