Safe Cough Medicine: অ্যান্টিবায়োটিক নয়, সর্দি-কাশিতে ৪ ওষুধ সেফ, bangla.aajtak.in-কে জানালেন ডাক্তার

শীত পড়ছে। ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। আর এমন আবহাওয়ায় অনেকেরই সর্দি-কাশি লাগছে। নাক দিয়ে গড়াচ্ছে জল, সর্দি। কাশি হয়েই যাচ্ছে। আর এমন অবস্থায় অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই খেয়ে নেন অ্যান্টিবায়োটিক। যার ফলে শরীরের বারোটা বেজে যায়। তাই কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিনের চিকিৎসক ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল অ্যান্টিবায়োটিকের থেকে দূরে থাকতে বললেন।

Advertisement
অ্যান্টিবায়োটিক নয়, সর্দি-কাশিতে ৪ ওষুধ সেফ, bangla.aajtak.in-কে জানালেন ডাক্তারসর্দি-কাশিতে কোন ওষুধ?
হাইলাইটস
  • এমন আবহাওয়ায় অনেকেরই সর্দি-কাশি লাগছে
  • নাক দিয়ে গড়াচ্ছে জল, সর্দি
  • এমন অবস্থায় অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই খেয়ে নেন অ্যান্টিবায়োটিক

শীত পড়ছে। ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। আর এমন আবহাওয়ায় অনেকেরই সর্দি-কাশি লাগছে। নাক দিয়ে গড়াচ্ছে জল, সর্দি। কাশি হয়েই যাচ্ছে। আর এমন অবস্থায় অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই খেয়ে নেন অ্যান্টিবায়োটিক। যার ফলে শরীরের বারোটা বেজে যায়। তাই কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিনের চিকিৎসক ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল অ্যান্টিবায়োটিকের থেকে দূরে থাকতে বললেন। তার বদলে খোঁজ দিলেন কিছু সেফ ওষুধের।

অ্যান্টিবায়োটিক কেন নয়?

ডাঃ পাল বলেন, 'অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের কারণে। তবে সর্দি, কাশির পিছনে সাধারণ ব্যকটেরিয়া থাকে না। থাকে ভাইরাস। তাই এমন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কোনও কাজ করে না। উল্টে শরীরের হাল বিগড়ে যায়। তৈরি হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। যার ফলে পরবর্তী সময় সেই ওষুধগুলি আর কাজ করতে চায় না। আর এটা মারাত্মক সমস্যা। তাই ভুলেও সর্দি-কাশিতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নয়।'

তাহলে কোন কোন ওষুধ সেফ?

এক্ষেত্রে ৪ ওষুধ সেফ বলে মনে করেন ডাঃ পাল। সেগুলি হল-

১. প্যারাসিটামল অবশ্যই খুব নিরাপদ ওষুধ। এটি দিনে ২ থেকে ৩টি খাওয়া যায়। এটি খেলে জ্বর কমবে। পাশাপাশি গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথা থেকেও মিলবে মুক্তি। শুধু তাই নয়, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা কমাতেও এর জুড়ি নেই। তাই এই ওষুধটা অবশ্যই খেতে পারেন।

২. লিভোসেট্রিজিন ওষুধ দিনে একটা খেতে পারেন। এই ওষুধটার গুণে কমে যাবে সর্দি, কাশি। আপনি আরাম পাবেন।

৩. নাক বন্ধ থাকলে সাধারণ স্যালাইন নেজাল ড্রপ লাগাবেন। বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে অন্য কোনও ড্রপ দেবেন। ওই সব ড্রপ কিন্তু ক্ষতি করতে পারে।

৪. ভিটামিন সি ওষুধ দিনে একটা করে খাওয়া যায়।

কাফ সিরাপ নয়

ডাঃ পাল বলেন, 'একটা সময় কাফ সিরাপকে সেফ বলে মনে করা হতো। তাই কোনও মানুষ সেটা খেতে চাইলে খুব একটা বারণ করা হতো না। তবে বর্তমানে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। মধ্যপ্রদেশে শিশুমৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই বারণ করা হচ্ছে কাফ সিরাপ খেতে।'

Advertisement

তাই কাশি হলেও কাফ সিরাপ নয়। ডাক্তার দেখিয়েই নিন সিদ্ধান্ত।

গার্গল করুন, নিন স্টিম

ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু ন্যাচারল রেমেডিও নিন। নিয়মিত করুন গার্গল। তাতে গলা ব্যথা কমে যাবে। পাশাপাশি আপনি স্টিমও নিতে পারেন। তাতে সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে পাবেন মুক্তি বলে জানালেন ডাঃ পাল। তাই এই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?

জ্বর, কাশি বা সর্দি নিয়ে যদি খুব ভোগেন, যদি শ্বাসকষ্ট হয়, কফের সঙ্গে রক্ত বেরয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে মনে করেন ডাঃ পাল।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

POST A COMMENT
Advertisement