নাক বন্ধ থাকলে কী করবেন?শীতের দাপুটে ইনিংস শুরুর পরই অনেকের নাক একবারে বন্ধ। কারও আবার নাক দিয়ে অনবরত বেরচ্ছে জল। আবার কারও কারও নাক দিয়ে কফ বেরচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সকলেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ চাইছেন। এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে এই সমস্যাগুলি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে? আর সেই উত্তরটাও দিলেন দিলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আশিস মিত্র।
কেন বাড়ছে সমস্যা?
আসলে হুট করে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর সেটাই বিপদের কারণ। এই সময় হুট করে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। যার ফলে হচ্ছে সমস্যা। শুধু তাই নয়, এই সময় একাধিক ভাইরাসও সক্রিয় হয়। এই সব ভাইরাস আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন তৈরি করে। সেই কারণেও সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন ডাঃ মিত্র।
এখন প্রশ্ন হল, নাক বন্ধ হলে, নাক দিয়ে জল গড়ালে বা নাক দিয়ে কফ গড়ালে কী করবেন? সেই সমাধানটাও দিলেন চিকিৎসক।
স্টিম নিন
এই সমস্যা সমাধানে স্টিম নেওয়া জরুরি বলে জানালেন ডাঃ মিত্র। তিনি বলেন, 'সবার প্রথমে জল গরম করে নিন। তারপর মাথার উপর দিয়ে কাপড় জড়িয়ে সেই জল থেকে ওঠা বাস্প নাক-মুখ দিয়ে টানা শুরু করুন। তাতেই দেখবেন সমস্যা কমে যাবে। নাক খুলে যাবে। বন্ধ হবে কফ বেরনোর সমস্যা।'
পুষ্টিকর খাবার খান
আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সেক্ষেত্রে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শাক, সবজি এবং ফল খেতে হবে। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। এছাড়া প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ, ডিম এবং চিকেন খাওয়া মাস্ট। তাতেই বাড়বে ইমিউনিটি। আপনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন ডাঃ মিত্র। তাই চিন্তা নেই।
কোন কোন ওষুধ চলতে পারে?
এই সমস্যা সমাধানে ৪ ধরনের ওষুধ চলতে পারে বলে জানালেন ডাঃ মিত্র। সেগুলি হল-
১. যদি জ্বর থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল হল মাস্ট। এই ওষুধটি শরীরের হাল ফিরিয়ে দেবে। কমাবে জ্বর। পাশাপাশি গা-হাত-পায়ে ব্যথাও কমবে।
২. সমস্যা কমাতে চাইলে নেজাল ডিকনজ্যাস্ট্যান্ট ড্রপও নাকে দিতে পারেন। এই ওষুধগুলি দিনে ২ বার ব্যবহার করলে সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে। তবে এই ওষুধ বেশিদিন ব্যবহার করবেন না। তাতে বিপদ হতে পারে।
৩. এছাড়া চাইলে অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধও খাওয়া যায়। এই ওষুধ খেলেও আরাম পেতে পারেন।
এছাড়া খুব প্রয়োজন হলে ভিটামিন সি এবং মাল্টিভিটামিন ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে বলে জানালেন ডাঃ মিত্র।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।