Eggs damaging heart: ডিম নিয়ে নতুন সতর্কতা, হার্ট দুর্বল হলে এই খবরটি অবশ্যই পড়ুন

ডিম দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সকালের জলখাবারের অন্যতম প্রিয় ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ থাকায় অনেকেই একে ‘সুপার ফুড’ বলে মনে করেন। তবে, সম্প্রতি JAMA Network-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা হৃদরোগীদের জন্য নতুন সতর্কতা এনেছে।

Advertisement
ডিম নিয়ে নতুন সতর্কতা, হার্ট দুর্বল হলে এই খবরটি অবশ্যই পড়ুন
হাইলাইটস
  • ডিম দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সকালের জলখাবারের অন্যতম প্রিয় ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত।
  • এতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ থাকায় অনেকেই একে ‘সুপার ফুড’ বলে মনে করেন।

ডিম দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সকালের জলখাবারের অন্যতম প্রিয় ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ থাকায় অনেকেই একে ‘সুপার ফুড’ বলে মনে করেন। তবে, সম্প্রতি JAMA Network-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা হৃদরোগীদের জন্য নতুন সতর্কতা এনেছে।

গবেষণার নাম - 'Dietary Cholesterol and Egg Consumption in Relation to Incident Cardiovascular Disease and Mortality'। এতে দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন নিয়মিত ডিম খাওয়া হৃদরোগ এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রতিদিন অর্ধেক ডিমেই ঝুঁকি বাড়ে
শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের পরিচালিত এই গবেষণায় ২৯,৬১৫ জন অংশগ্রহণকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দেখা গেছে, প্রতিদিন অর্ধেক ডিম (অর্থাৎ সপ্তাহে ৩–৪টি ডিম) খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় ৬% এবং মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৮% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এর মূল কারণ হিসেবে গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন ডিমের উচ্চ কোলেস্টেরল মাত্রা।

একটি ডিমে কতটা কোলেস্টেরল থাকে?
একটি বড় ডিমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। আর ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য থেকে প্রতি ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল গ্রহণ হৃদরোগের ঝুঁকি ১৭% এবং মৃত্যুর ঝুঁকি ১৮% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।

গবেষণার ফলাফল কী বলছে
গবেষণার ভিত্তিতে দেখা যায়, ডিমে থাকা কোলেস্টেরলের পরিমাণই ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রধান কারণ। অর্থাৎ, ডিমের প্রোটিন বা অন্যান্য উপাদান নয়, বরং কুসুমে থাকা কোলেস্টেরলই হৃদরোগীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক হতে পারে।

ডিম কি তবে খাওয়া যাবে না?
বিশেষজ্ঞদের মতে, একেবারে ডিম খাওয়া বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। বরং পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। যারা হৃদরোগে ভুগছেন বা পরিবারে এর ইতিহাস আছে, তাদের উচিত, প্রতিদিন ডিমের কুসুম না খাওয়া। সেদ্ধ বা কম তেলে রান্না করা ডিম খাওয়া। এবং সামগ্রিক খাদ্যাভ্যাসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

 

POST A COMMENT
Advertisement