কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। চারিদিকে জ্বলবে মোমবাতি। বাড়ি সাজানো হবে রঙিন আলোয়। ঝলমল করবে চারদিক।
তবে কালীপুজো মানে শুধু আলো নয়। এ দিন অনেকেই ফাটাবেন বাজি। আর সেই বাজি ফাটানোর সময় একটু এদিক-ওদিক হলেই চোখে প্রবেশ করতে পারে বাজির ফুলকি। যার থেকে চোখের বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই দীপাবলিতে বাজি ফাটানোর সময় চোখের যত্ন নিতেই হবে।
তাই আর সময় নষ্ট না করে চোখের সেফটি টিপস জেনে নেওয়া যাক।
চশমা পরুন
এ দিন বাজি ফাটানোর সময় অবশ্যই চোখে চশমা পরতে হবে। পাওয়ার না থাকলে বিনা পাওয়ারের চশমা পরে বাজি ফাটান। তাতে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কমবে। চোখে বাজির ফুলকি ঢুকে যেতে পারবে না।
দূর থেকে ফাটান
বাজি একটু দূর থেকে ফাটাতে হবে। বিশেষত, চোখ ও শরীরের থেকে দূরে রেখে বাজি ফাটানো জরুরি। তাতেই চোখে বাজির ফুলকি প্রবেশ করার আশঙ্কা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে।
চোখের পাতা ডলবেন না
অনেক সময় বাজি থেকে বেরনো ধোঁয়া চোখে চলে যায়। তারপর শুরু হয় খুব জ্বালা ও যন্ত্রণা। অস্বস্তি বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে চোখের পাতা ডলবেন না। বরং চেষ্টা করুন চোখে সামান্য জলের ঝাপটা দেওয়ার। আর ঝাপটাটা আলতো করে দেবেন। জোরে নয়। ব্যাস, তাহলেই দেখবেন বাজির জন্য ব্যথা ও জ্বালা কমে যাবে।
চোখে বাজির ফুলকি ঢুকলে করবেন কী?
এমন পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে চোখে জল দিতে হবে। আলতো করে চোখে জল দিন। আর জলটা যাতে পরিষ্কার থাকে, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করুন। এর পর চোখে টিয়ার ড্রপ দিতে পারেন। তাহলেই দেখবেন সমস্যা কমে যাবে। চোখ আর জ্বালা করবে না।
কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে?
বাজির ফুলকি চোখে ঢুকে যদি দেখতে সমস্যা হয়, চোখ যদি লাল হয়ে যায়, চোখ খুলতে যদি না পারেন, তাহলে আর বাড়িতে অপেক্ষা করবেন না। বরং চেষ্টা করুন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলার। ভালো হয় কোনও চোখের হাসপাতালের ইর্মেজেন্সিতে চলে গেলে। সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক সমস্যা বুঝে তার পর দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। তাতে আর সমস্যা বেশি দূর গড়াতে পারবে না।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।