রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই কীকরে বুঝাবেন আপনি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত?Detect Fatty Liver Without Test: লিভার এবং কিডনি উভয়ই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, এবং আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা উভয়ের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ লিভার এবং কিডনির সমস্যা নিয়ে লড়াই করছেন। ফ্যাটি লিভার আজকাল একটি সাধারণ কিন্তু বিপজ্জনক সমস্যা হয়ে উঠছে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল ফ্যাটি লিভারকে একটি নীরব রোগ বলা হয় কারণ এটি প্রাথমিকভাবে কোনও ব্যথা বা স্পষ্ট লক্ষণ সৃষ্টি করে না। তবে, লিভারের অভ্যন্তরীণ ক্ষতি অব্যাহত থাকে।
যখন ফ্যাটি লিভারের কথা জানা যায়, তখন পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠে। যদিও ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি দৃশ্যমান না, তবুও আমাদের শরীরে কিছু পরিবর্তন অবশ্যই ফ্যাটি লিভারের উপস্থিতি নির্দেশ করে, যা আমরা প্রায়শই উপেক্ষা করি, এবং এটিকে সাধারণ মনে করি।
ফ্যাটি লিভার কেবল মদ্যপ বা বয়স্কদের সমস্যা নয়, বরং এটি এখন শিশু এবং তরুণদের জন্যও একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আয়ুর্বেদিক ডাক্তার সেলিম জাইদি তার সর্বশেষ ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে বাড়িতে করা কিছু সহজ পরীক্ষা ব্যাখ্যা করেছেন যা থেকে ফ্যাটি লিভারের পরিস্থিতি বোঝা যেতে পারে ।
কোমরের মাপ
এটি ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে সহজ এবং প্রথম লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আপনার নাভির স্তরে আপনার কোমর পরিমাপ করুন। পরিমাপ করার সময় স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিন এবং টেপটি শক্ত বা আলগা করবেন না।
যদি আপনার কোমর এই সীমা অতিক্রম করে, তাহলে আপনার ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পেটের চারপাশে জমে থাকা চর্বি সরাসরি লিভারের উপর প্রভাব ফেলে।
কোমর এবং উচ্চতার অনুপাত
এই পরীক্ষায়, কোমর এবং উচ্চতার অনুপাত দেখে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি ধরা পড়ে।
এই সূত্রটি গণনা করার জন্য, আপনাকে প্রথমে আপনার কোমরের মাপকে আপনার উচ্চতা দিয়ে ভাগ করতে হবে।
কোমর = ৯৬ সেমি
দৈর্ঘ্য = ১৭০ সেমি
৯৬ ÷ ১৭০ = ০.৫৬
ফলের অর্থ
এই পরীক্ষার মূল বিষয় হলো এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গোল্ডেন রুল হলো আপনার কোমর আপনার উচ্চতার অর্ধেকেরও কম হওয়া উচিত।
পেটের আকৃতি
তৃতীয় এবং শেষ পরীক্ষা হল, যদি আপনার পেট শক্ত, টানটান এবং কলসের মতো বেরিয়ে আসে, তাহলে এটি ভিসারাল ফ্যাটের লক্ষণ হতে পারে। এই ফ্যাটটি সবচেয়ে বিপজ্জনক কারণ এটি সরাসরি লিভারের ক্ষতি করে এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডাঃ সেলিম জাইদি মানুষকে সতর্ক করে বলেন, 'লিভারের কোনও ব্যথা হয় না, কিন্তু ক্ষতি নীরবে চলতে থাকে। সময়মতো পরীক্ষা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, প্রতিদিনের ব্যায়াম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ লিভারকে রক্ষা করার চাবিকাঠি। যদি এই তিনটি পরীক্ষার মধ্যে দুটি পজিটিভ আসে, তাহলে তা উপেক্ষা করবেন না। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে পেটের আল্ট্রাসাউন্ড এবং প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা করান।'