Fatty Liver: বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি; এই খাবারগুলি খেতে বারণ করছেন AIIMS এর ডাক্তার

এতদিন খালি ডায়াবেটিস, প্রেশার নিয়েই সবাই ভাবতেন। তবে দিন দিন ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও দ্রুত বাড়ছে। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বজুড়েই ফ্যাটি লিভারের কেস ক্রমেই বাড়ছে।

Advertisement
বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি; এই খাবারগুলি খেতে বারণ করছেন AIIMS এর ডাক্তারদৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস, বিশেষ করে কিছু পানীয়, ধীরে ধীরে লিভারের উপর মারাত্মক চাপ ফেলছে।
হাইলাইটস
  • এতদিন খালি ডায়াবেটিস, প্রেশার নিয়েই সবাই ভাবতেন।
  • দিন দিন ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও দ্রুত বাড়ছে।
  • শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বজুড়েই ফ্যাটি লিভারের কেস ক্রমেই বাড়ছে।

এতদিন খালি ডায়াবেটিস, প্রেশার নিয়েই সবাই ভাবতেন। তবে দিন দিন ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও দ্রুত বাড়ছে। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বজুড়েই ফ্যাটি লিভারের কেস ক্রমেই বাড়ছে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, কম বয়সিদের মধ্যেও এই রোগ থাবা বসাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, ভুল খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি কিছু পানীয় নিয়মিত খাওয়ার ফলেই অল্প বয়সেই লিভারে চর্বি জমতে শুরু করছে। অথচ লিভার শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ডিটক্সিফিকেশন থেকে শুরু করে বিপাকক্রিয়া, সব কিছুর কেন্দ্রেই রয়েছে এই অঙ্গ। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস, বিশেষ করে কিছু পানীয়, ধীরে ধীরে লিভারের উপর মারাত্মক চাপ ফেলছে।

এই প্রসঙ্গে এমস, হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেঠি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিভারের জন্য ক্ষতিকর কিছু পানীয়ের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর বক্তব্য, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, এই পানীয়গুলি এখন শিশুরাও নিয়মিত খাচ্ছে। আর তার ফলেই অল্প বয়সেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

চিকিৎসকের মতে, বাজারচলতি শুগারি সোডা লিভারের জন্য কার্যত ‘স্লো পয়জন’। অনেকেই হজমের জন্য বা অভ্যাসবশত রোজ খাবারের সঙ্গে সোডা পান করেন। কিন্তু এই পানীয়ে থাকা অতিরিক্ত রিফাইন্ড সুগার ও কৃত্রিম সুইটনার নিয়মিত শরীরে ঢুকলে লিভারে ফ্যাট জমার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।

এনার্জি ড্রিঙ্কস নিয়েও সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পানীয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি, ক্যাফিন ও নানা রাসায়নিক উপাদান। দীর্ঘদিন এগুলি খেলে লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ধীরে ধীরে লিভার ড্যামেজ হতে পারে। বিশেষ করে জিমে যাওয়া তরুণ বা অ্যাথলিটদের মধ্যে এই পানীয়ের চল বেশি।

ইদানীং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বোবা টি। তবে এই পানীয় আদৌ স্বাস্থ্যকর নয় বলেই মত চিকিৎসকদের। শুগার সিরাপ, ক্রিম ও ট্যাপিওকা পার্লে ভরপুর বোবা টি ক্যালোরি ও চিনিতে ঠাসা। অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে লিভারে চর্বি জমার আশঙ্কা বাড়ে।

Advertisement

অনেক বাবা-মা সন্তানদের স্বাস্থ্যকর ভেবে প্যাকেটজাত ফলের রস খাওয়ান। কিন্তু বাস্তবটা ঠিক উল্টো। এই ধরনের জুসে ফাইবার প্রায় থাকেই না, অথচ অতিরিক্ত অ্যাডেড সুগার থাকে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে এবং তার সরাসরি প্রভাব পড়ে লিভারের উপর।

লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু অবশ্যই মদ্যপান। নিয়মিত বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস এমনকি লিভার ফেলিওরের মতো মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকদের সাফ কথা, লিভার সুস্থ রাখতে হলে মদ্যপান পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

তবে শুধু নিষেধ নয়, লিভারের জন্য উপকারী কিছু পানীয়ের কথাও বলেছেন ডা. সেঠি। তাঁর মতে, লেবু জল, হলুদের জল, গ্রিন টি, ম্যাচা টি, ব্ল্যাক টি ও পরিমিত পরিমাণে কফি লিভারের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এগুলি রাখলে লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

সব মিলিয়ে চিকিৎসকদের বার্তা স্পষ্ট, আজ যেগুলি নিরীহ পানীয় বলে মনে হচ্ছে, সেগুলিই ভবিষ্যতে বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক না হলে অল্প বয়সেই ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ ভয়ানক আকার নিতে পারে।

POST A COMMENT
Advertisement