কালীপুজোর পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে সিজন চেঞ্জের প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। ভোর ও সন্ধ্যায় হালকা ঠাণ্ডা ভাব বোঝা যাচ্ছে। গ্রামবাংলার দিকে শাল জড়াচ্ছেন অনেকে।
তবে এই সময় সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় অসুস্থতার ঝুঁকিও বাড়ে। চলুন জেনে নিই, কীভাবে শীতের শুরুতে নিজেকে সুস্থ রাখবেন।
শীতের শুরুতে মরসুমি ফল ও শাকসবজি খান। এতে সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমে। ভিটামিন C সমৃদ্ধ আমলকী, কাগজি লেবু, কমলালেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পালং শাক, বাঁধাকপি ও শিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ঠাণ্ডা এড়াতে ও সর্দি-কাশি রুখতে গরম জল পান করুন। সকালে এক গ্লাস গরম জল লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে গলা পরিষ্কার থাকে। হালকা গরম জলে গার্গলও সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে।
ভোরে ও রাতে ঠাণ্ডা এড়াতে শাল বা হালকা চাদর ব্যবহার করুন। শীতের শুরুতে বেশিরভাগ অসুখ হয় ঠাণ্ডা লাগার কারণে, তাই হাত, পা, কান ও গলা গরম রাখার চেষ্টা করুন।
শীতের শুরুতে শরীর আর্দ্রতা হারায় কম। তাই জলপান করতে ভুলবেন না। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কম ঘুমের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ও ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা বাড়ে।
সিজন চেঞ্জের সময় ঠাণ্ডা লাগলে মধু, তুলসী পাতা, আদা ও কালো গোলমরিচের মিশ্রণ খুবই কার্যকরী। হালকা গরম জল মধু ও লেবু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করলে সর্দি ও কাশির উপশম হয়।
এই সময় ফুড ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই বাইরের তেল-মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সিজন চেঞ্জের সময় ভাইরাসজনিত রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে ফিরে বা খাবারের আগে ভালো করে হাত পরিষ্কার করে নিন।
শীতের শুরুতে সুস্থ থাকতে এই অভ্যাসগুলি মেনে চলুন। সর্দি-কাশি হলে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম আপনার শরীরকে শীতের শুরুতে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।