
Winter Best Health Drink: হেলথ ডেস্ক: ভারতীয় ঘরোয়া চিকিৎসার অন্দরে বহু প্রাচীন এক অভ্যাস আজও সমান জনপ্রিয়। দুধে মেশানো হলুদ আর গুড়। শীতের রাতে গরম গরম এই পানীয় শুধু আরামই দেয় না, শরীরের ভিতরকার নানা সমস্যা দূর করে শরীরকে শক্তি জোগায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদের কারকিউমিন আর গুড়ের প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ভেতর থেকে মজবুত করে তোলে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং ঠান্ডা-কাশির প্রকোপ কমায়।
শীতের সময় ইমিউনিটি কমে আসে। তাই এমন একটি সহজ, ঘরোয়া ও পুষ্টিকর পানীয় প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা খুবই উপকারী।
পাচনশক্তি বাড়ায়, গ্যাস-অম্বল কমায়
হলুদ আর গুড় মেশানো গরম দুধ পেটের পেশি শিথিল করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে। যাদের দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। পেট পরিষ্কার রাখতে ও খাবার হজমে সাহায্য করে এই প্রাচীন ঘরোয়া রেসিপি।
জোড়ব্যথা ও শরীরের ক্লান্তি কমায়
হলুদে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ শরীরের প্রদাহ কমায়। জোড়ের ব্যথা, পেশি টান বা সারাদিনের ক্লান্তিতে ভুগলে রাতে ঘুমানোর আগে এই দুধ শরীরকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে উপকার আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
ত্বক করে উজ্জ্বল, শুষ্কতা কমে
শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে।
গুড় রক্তকে পরিশুদ্ধ করে, ফলে ত্বকে স্বাভাবিক দীপ্তি আসে।
শরীরে শক্তি যোগায়, ঘুম ভালো হয়
হলুদ-দুধের গরম কাপ শরীরে উষ্ণতা আনে এবং শক্তি বাড়ায়। রাতে পান করলে মন-শরীর শান্ত হয়, ফলে ঘুমও হয় গভীর ও আরামদায়ক। যারা অনিদ্রায় ভোগেন, তারা নিয়মিত রাতে এক কাপ গরম দুধে উপকার পাবেন।
ইমিউনিটি বাড়ায়, ঠান্ডা-কাশি কমায়
হলুদ আর গুড়ের যৌথ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা শরীরের রোগ প্রতিরোধক শক্তিকে উন্নত করে। শীতের মৌসুমে যে ঠান্ডা-কাশি, গলা বসে যাওয়া বা গলা ব্যথার সমস্যা হয়, তা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার সংক্রমণ এবং কফ জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
কীভাবে বানাবেন এই সুপার হেলদি ড্রিংক?
এক গ্লাস দুধ হালকা গরম করে নিন। তাতে মেশান আধ চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং স্বাদ মতো গুড় (চাইলে মধুও ব্যবহার করা যায়)। অতিরিক্ত গুণ বাড়াতে চিমটি মাত্র গোলমরিচ বা অল্প আদা কুচি দেওয়া যেতে পারে।
সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে গরম গরম পান করুন। সকাল বা রাত, দুই সময়ই খাওয়া যায়, তবে রাতে খেলে উপকার বেশি।