 পেটে গ্যাসের সমস্যা সারবে ঘরোয়া উপায়েই।
পেটে গ্যাসের সমস্যা সারবে ঘরোয়া উপায়েই।পেট ঠান্ডা থাকলে সব ঠিক থাকে। আর পেট যদি একবার বিগড়োয়, তা হলে শরীর ঝিমিয়ে পড়ে।চিকিৎসকেদের মতে, যাঁর কোনও পেটের সমস্যা নেই, তিনি একদম ফিট। পেট ঠিক থাকলে আর দেখতে হবে না, শরীর হবে চনমনে। কিন্তু ইদানীং পেটের সমস্যাতেই ভুগছেন একটা বড় অংশের জনগোষ্ঠী। বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলেই প্রায়শই পেটের সমস্যায় কাবু। পেটে গ্যাসের সমস্যা এখন তো রোজনামচা হয়ে গিয়েছে। গ্যাসের সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে সাত-পাঁচ না-ভেবেই ওষুধ খেয়ে ফেলছেন অনেকে। কিন্তু পুরোপুরি এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না।
সকলেই ব্যস্ত। সকলেই রোজ ছুটছেন। তাই ভাল করে খাওয়ার সময় নেই বললেই চলে। কোনও রকমে নাকে-মুখে গুঁজে কাজে বেরোচ্ছেন সকলে। এই জীবনধারাতেই বাড়ছে গ্যাসের সমস্যা। তার পর, বাইরে বেরিয়ে ফাস্ট ফুডে রসনাতৃপ্তি তো লেগেই রয়েছে। ফলে শরীরের বারোটা বেজে যাচ্ছে।
গ্যাসের সমস্যা হলে অনেকেই ওষুধ খান। তবে চিকিৎসকদের মতে, বেশি ওষুধ খেলে বিপদ। হতে পারে পাকস্থলী ক্যান্সার। তাছাড়া ওষুধ খাওয়ার পর হয়তো কিছুদিন ভাল থাকছেন। কিন্তু তারপরে যেই কে সেই। আবার পেটে সমস্যা। তাই গ্যাসের সমস্যার স্থায়ী সামধান রইল এখানে।
গ্যাসের লক্ষণ কী?
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, গ্যাস হলে বুঝবেন কী করে...
*বার বার ঢেকুর ওঠা
* ঘন ঘন বাতকর্ম 
* পেট ব্যথা
* পেট ভার ভার লাগা
*খিদে না পাওয়া
* বুকে ব্যথা
গ্যাসের সমস্যার ঘরোয়া সমাধান
এবার জেনে নিন, পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে ওষুধ না খেয়ে কীভাবে সারাবেন...
* চিকিৎসকদের মতে, রোজ সকালে লেবু চিপে ইষদষ্ণু জল খান। তবে যাঁদের অ্যাসিডিটির ধাত রয়েছে, তাঁরা শুধু ইষদষ্ণু জল খান।
* সকালে এই জল খাওয়ার পর ৫-১০ মিনট হাঁটুন।
* তার পরে বজ্রাসন এবং বঙ্গাসন করুন। এতে উপকার পাবেন।
* রোজ আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটুন। অথবা হাল্কা জগিং করতে পারেন।
* ডিনার করার পরও সম্ভব হলে একটু হাঁটুন।
* চিকিৎসকদের মতে, মানসিক চাপ থেকেও পেটের সমস্যা হয়। তাই রোজ মেডিটেশন করুন।
* বাতকর্ম চেপে রাখবেন না। দিনে ১০-১৫ বার বাতকর্ম করা স্বাভাবিক। 
 
* সপ্তাহে একদিন কিছুটা সময় না খেয়ে থাকুন যাকে ফাস্টিং বলে। তবে ফাস্টিং শেষ করার পর কখনওই উল্টোপাল্টা কিছু খাবেন না। 
* খাবার খাওয়ার সময় তা চিবিয়ে খান।
কী খাবেন না?
 পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এই খাবারগুলি ভুলেও খাবেন না...
* ফাস্টফুড খাবেন না। 
*অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার এড়ান। 
*অতিরিক্ত মশলাদার, তেল জাতীয় খাবার খাবেন না। 
* ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। 
*রাস্তায় খোলা খাবার যেমন ফুচকা, ভেলপুরি খাবেন না।