Brain Eating Amoeba: শ্রীরামপুরে ব্যক্তির মগজে ঘিলু খেকো অ্যামিবা এল কীভাবে? টাইম কলের জলেও বিপদ দেখছেন ডাক্তাররা

হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা প্রবীর কর্মকার। পেশায় কল মিস্ত্রি। বয়স ৫৬ বছর। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। চলতি বছর এপ্রিলে আচমকাই অবস্থার আরও অবনতি হয়। ঘন ঘন জ্ঞান হারাতে শুরু করেন। ঠিক করে হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না।

Advertisement
শ্রীরামপুরে ব্যক্তির মগজে ঘিলু খেকো অ্যামিবা এল কীভাবে? টাইম কলের জলেও বিপদ দেখছেন ডাক্তাররাএর থেকে সাবধান হবেন কীভাবে?
হাইলাইটস
  • হুগলির শ্রীরামপুরের(Serampore) বাসিন্দা প্রবীর কর্মকার।
  • গত দু’মাস টানা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীরবাবু।
  • ধীরে ধীরে চিকিৎসার জেরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়।

Brain Eating Amoeba: হুগলির শ্রীরামপুরের(Serampore) বাসিন্দা প্রবীর কর্মকার। পেশায় কল মিস্ত্রি। বয়স ৫৬ বছর। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। চলতি বছর এপ্রিলে আচমকাই অবস্থার আরও অবনতি হয়। ঘন ঘন জ্ঞান হারাতে শুরু করেন। ঠিক করে হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না। একাধিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও সঠিক রোগ ধরা যাচ্ছিল না। শেষমেশ ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, প্রবীরবাবুর মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে এক কোষী ব্রেন ইটিং অ্যামিবা! ইদানিং এই মগজ খেকো আণুবিক্ষণিক জীবের বিষয়ে প্রায়শই খবরে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেই অ্যামিবাই যে শ্রীরামপুরের প্রৌঢ়ের মগজে বাসা বেঁধেছে, তা প্রথমে কল্পনাও করেননি চিকিৎসকরা।

গত দু’মাস টানা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীরবাবু। ধীরে ধীরে চিকিৎসার জেরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। বর্তমানে শ্রীরামপুরের বাড়িতেই রয়েছেন। তবে শরীর এখনও বেশ দুর্বল। তবে আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছেন।

প্রবীরবাবু বলেন, 'কথা জড়িয়ে যেত, মাঝেমধ্যেই জ্ঞান থাকত না।' শেওড়াফুলি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কল মেরামত, ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের মাধ্যমে সংসার চালান। হঠাৎ এমন অসুস্থতায় রোজগার নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান প্রবীরবাবু। স্ত্রী পম্পা কর্মকার জানালেন, 'আমরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তারবাবুরা বললেন, মগজে অ্যামিবা বাসা বেঁধেছে। একেবারেই শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছিলেন। এখন অনেকটা ভাল আছেন। হাঁটাচলা করছেন, সবার সঙ্গে কথা বলছেন। ডাক্তারবাবুরা বলেছেন টাইম কলের জল না খেতে।'

কীভাবে এই রোগ হয়?
এই রোগকে সাধারণভাবে ব্রেন ইটিং অ্যামিবা ইনফেকশন বলা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম নিগ্লেরিয়া ফাওলেরি (Naegleria fowleri)। এটি এক ধরনের এক কোষী জীবাণু।সাধারণত অপরিষ্কার বা দূষিত জলে থাকে। অশোধিত জল পান করলে এই জীবাণু নাক দিয়ে শরীরে ঢুকে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। আর তার ফলেই ভয়াবহ সংক্রমণ হয়। মাথাব্যথা, জ্বর, বমি, আচরণে পরিবর্তন, এমনকি জ্ঞান হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রবল।

Advertisement

কেরলে ইতিমধ্যেই এই সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রবীর কর্মকারের মতো সময়মতো চিকিৎসা হলে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।

সহজভাবে বললে, ব্রেন ইটিং অ্যামিবা এক ধরনের অতি ক্ষুদ্র জীবাণু। নাক দিয়ে শরীরে ঢুকে মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। অপরিষ্কার জল বা পুকুরে নামলে এই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই চিকিৎসকেরা অপরিষ্কার জল নাকে মুখে দিতে বারণ করছেন। এমনি তাই দিয়ে হাত মুখ ধোয়াও এড়িয়ে চলুন। 

সংবাদদাতা: রাহি হালদার

POST A COMMENT
Advertisement