স্নানের ফায়দা তুলতে শীতে জলে মেশান এই ৫ জিনিসWinter Bathing Hot Water Alarm: শীতকাল এলেই অনেকের দিনের শুরু হয় গরম জলের স্নান দিয়ে। ঠান্ডার সকালে উষ্ণ জলের আরাম যেন আলাদা তৃপ্তি দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আরামই ধীরে ধীরে শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত গরম জলে স্নান করলে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। দীর্ঘ সময় উষ্ণ জলে স্নান করলে শুক্রাণু উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গরম জলের তাপমাত্রা টেস্টিকলসের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে ফার্টিলিটি কমতে পারে।
শুধু তাই নয়, হৃদযন্ত্রের পক্ষেও গরম জলে স্নান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। প্রবল ঠান্ডায় আচমকা খুব গরম জলে স্নান করলে রক্তচাপ দ্রুত বেড়ে যায়। এতে হৃদপিণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বিশেষ করে যাঁদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বিপদ আরও বেশি।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উপরও গরম জলের প্রভাব পড়ে। গরম জল ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। নিয়মিত এমন হলে চুলকানি, ফাটল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন ছাড়া গরম জল ব্যবহার না করাই ভালো বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর বিপরীতে ঠান্ডা বা কুসুম গরম জলে স্নান শরীরের জন্য উপকারী। এতে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে, শরীর সতেজ হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। মানসিক চাপ কমাতেও ঠান্ডা জলের স্নান কার্যকর বলে মত চিকিৎসকদের।
অনেক সময় গরম জল ব্যবহার করলে বাথরুমে বা ঘরে হালকা দুর্গন্ধ জমে যায়। এই সমস্যার সহজ ঘরোয়া সমাধানও রয়েছে। বাথরুমে বা নির্দিষ্ট জায়গায় একটি ছোট ফিটকিরির টুকরো রেখে দিলে তা বাতাস শুদ্ধ করে এবং দুর্গন্ধ শোষণ করে নেয়।
সব মিলিয়ে শীতকালে স্নানের সময় একটু সচেতন হলেই শরীরকে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। গরম জলের আরাম নয়, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকেই গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।