উপযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। খুশকির সমস্যা এখন অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। মাথার ত্বকে চুলকানি, সাদা গুঁড়োর মতো খোসা পড়া; সব মিলিয়ে অস্বস্তি বাড়ায় খুশকি। তবে সঠিক যত্ন আর উপযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
খুশকি মূলত মাথার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ, অতিরিক্ত তেল, শুষ্কতা বা ভুল হেয়ার কেয়ারের কারণে হয়। তাই খুশকি দূর করতে প্রথমেই প্রয়োজন এমন শ্যাম্পু, যা ছত্রাকের বিরুদ্ধে কার্যকর। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা প্রায়ই কেটোকোনাজল (Ketoconazole) শ্যাম্পু ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
কেটোকোনাজল শ্যাম্পু কেন?
কেটোকোনাজল একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি মাথার ত্বকে থাকা মালাসেজিয়া নামের ছত্রাকের বৃদ্ধি রোধ করে, যা খুশকির অন্যতম প্রধান কারণ। নিয়মিত ব্যবহারে চুলকানি কমে, খোসা পড়া নিয়ন্ত্রণে আসে এবং মাথার ত্বক ধীরে ধীরে সুস্থ হয়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
কেটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহার করার সময় কিছু নিয়ম মানা জরুরি। প্রথমে চুল ভাল করে ভিজিয়ে নিন। এরপর অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু মাথার ত্বকে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। অন্তত ৩–৫ মিনিট রেখে তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ওষুধটি ঠিকমতো কাজ করার সময় পায়।
কত ঘন ঘন ব্যবহার করবেন?
খুশকি বেশি থাকলে প্রথম ২ থেকে ৪ সপ্তাহ সপ্তাহে দু’বার কেটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়। অবস্থার উন্নতি হলে সপ্তাহে একবার বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। প্রতিদিন এই শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক নয়, এতে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত যত্ন
খুশকি কমাতে তেল বেশি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। খুব গরম জল দিয়ে মাথা ধোবেন না। স্ট্রেস কমানো এবং সুষম খাদ্যও খুশকি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তবে খুশকি দীর্ঘদিন না কমলে বা ত্বকে লালচে ভাব, ক্ষত দেখা দিলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।