আজকাল অনেকেই রক্তাল্পতায় ভোগেন। বিশেষত অল্পবয়সী কিশোরী, যুবতীদের অনেকেই রক্তাল্পতার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েন। রক্তের অভাবে কোনও ব্যক্তির রক্তশূন্যতা, ক্লান্তি এবং দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে পারে। তবে শুধু তাই নয়। বাড়াবাড়ি হলে রক্ত জমাট বাঁধা এবং কম প্লেটলেট সংখ্যার মতো সমস্যাও হতে পারে। শরীরে রক্তের ঘাটতি মোটেও হেলাফেলা করার মতো বিষয় নয়। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
তবে, এর সুরাহাও কিন্তু খুব কঠিন নয়। অনেক খাদ্য উপাদানের মধ্যেই আয়রন এবং অন্য অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থাকে। এগুলি শরীরে রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আয়রন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এই পুষ্টিকর খাবারগুলি প্রত্যেকের পাতে থাকা প্রয়োজন।
১. পালং শাক:
শীতকালে বাজারে প্রচুর সতেজ পালংশাক ওঠে। সেটা কাজে লাগান। পালং শাকে প্রচুর আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি মেলে। এর আয়রন লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। অন্যদিকে ভিটামিন সি আয়রনের শোষণে সাহায্য করে। পালংশাক তরকারি করে খেতে পারেন। আবার সালাড হিসাবেও খাওয়া যায়। তবে যা-ই করুন, অতিরিক্ত সময় ধরে সেদ্ধ করা বা সেদ্ধ করে জল ফেলে দেওয়ার মতো ভুল করবেন না। তাতে ভিটামিন নষ্ট হয়। যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই রান্না করুন।
২. বিট:
বিটতে রক্ত তৈরির যন্ত্র বললেও ভুল হবে না। এটি আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। স্যালাড হিসাবেও খেতে পারেন। আবার মাঝে মাঝে রসও পান করতে পারেন।
৩. গোটা দানা শস্য
গোটা দানা শস্যেও আয়রণ থাকে। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। রাগী, জোয়ার এবং বাজরার মতো শস্য খেলে তা শুধু রক্তই নয়, শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। এ ছাড়া ডাল এবং গোটা শস্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবার থাকে। এগুলি শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে। গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি হজমশক্তিকে ভাল রাখে। এটি রক্তাল্পতা কাটাতে সাহায্য করে।
৪. বেদানা
বেদানায় আয়রন, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। বেদানা লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। শরীরে রক্ত বাড়াতে চাইলে তাই নিয়মিত বেদানা খাওয়া প্রয়োজন। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে হলে বেদানার রস পান করতে পারেন। বেদানায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি পাওয়া রয়েছে।
৫. বাদাম
বাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তা এবং কাজুতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিন থাকে। এটি শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। রোজ এগুলির মধ্যে অন্তত একটি খাদ্যতালিকায় রাখুন।