হাফ বয়েল ডিমডিম ভক্ত বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তারা রোজ নিয়ম করে এই খাবারটি খান। তাতেই জিভের শান্তি। পাশাপাশি শরীরও থাকে ভাল।
তবে মাথায় রাখতে হবে, আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার হাফ বয়েল করে ডিম খান। তাদের মতে, এভাবে ডিম খেলেই বোধহয় মিলবে বেশি উপকার। শরীর থাকবে ভাল। তবে প্রশ্ন হল, হাফ বয়েল ডিম কি সত্যিই শরীরের জন্য বেশি উপকারী, নাকি এটা আদতে ক্ষতিকর? আর সেই উত্তরটা জানতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম ফর্টিস হাসপাতালের চিফ ডায়েটিশিয়ান শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
ডিমের একাধিক পুষ্টিগুণ
একটা ডিম থেকে মোটামুটি ৭২ ক্যালোরি মেলে। পাশাপাশি ৬ গ্রামের মতো প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি। সেই সঙ্গে সেলেনিয়াম, আয়রন, ফসফরাস এবং ক্যালিসিয়ামও পাবেন। এখানেই শেষ নয়, ডিমে কোলিনের মতো ব্রেন ফাংশনে সাহায্যকারী একটি উপাদানও রয়েছে। পাশাপাশি এতে পাবেন লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিনের মতো অত্যন্ত উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত ডিম খেতে হবে। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন বলে মনে করছেন শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়।
হাফ বয়েল ডিম কি খুব উপকারী?
এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রাবণী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'হাফ বয়েল ডিম খেলে শরীরের কোনও উপকার হয় না। বরং এর থেকে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আসলে ডিমে রয়েছে বায়োটিন এবং এভিডিন। আর সিদ্ধ ডিম না খেলে এই দুই উপাদান শরীরে ঢুকে একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে পেট খারাপ থেকে শুরু নানাবিধ জটিলতা হতে পারে তৈরি। তাই হাফ বয়েল ডিম খাওয়া চলবে না।'
ব্যাকটেরিয়া বিপদে ফেলতে পারে
আসলে কাঁচা বা অর্ধ সিদ্ধ ডিমে মজুত থাকতে পারে কিছু ব্যাকটেরিয়া। সেগুলি শরীরে পৌঁছে একাধিক সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষত, বমি, পায়খানা ও জ্বর হওয়ার থাকে আশঙ্কা। তাই ভুলেও খাওয়া চলবে না হাফ বয়েল ডিম। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন বলে মত দিলেন এই পুষ্টিবিদ।
তাহলে কীভাবে খাবেন?
'সবথেকে ভাল হল সিদ্ধ ডিম খাওয়া। এক্ষেত্রে মোটামুটি ১০ মিনিট ধরে ডিম ফুটিয়ে নিন। তাহলেই কাজ হবে। তবে যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের সিদ্ধ ডিম শক্ত লাগতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনায়াসে খাওয়া যায় ওয়াটার পোচ। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।' এমনটাই বললেন শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।