ব্রেকফাস্ট না করে ওজন কমাবেন?ওজন বেশি থাকাটা একবারেই ঠিক নয়। এই কারণে একাধিক সমস্যা নিতে পারে পিছু। আর সেই তালিকায় ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার, থাইরয়েড থেকে শুরু করে বহু জটিল অসুখ রয়েছে। তাই অনেকেই ফিট থাকার জন্য ওজন কমাতে চান। সেই কারণে ব্রেকফাস্ট খাওয়া বন্ধ করেন। তাতেই ওজন কমবে বলে মনে করেন তাঁরা।
যদিও প্রশ্ন হল, ব্রেকফাস্ট না করলে কি সত্যিই ওজন কমে, নাকি ফল হয় উল্টো? আর সেই বিষয়েই আমাদের বিশদে জানালেন ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স কলকাতার প্রধান পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার।
ব্রেকফাস্ট না করলে কি ওজন কমবে?
মীনাক্ষী মজুমদার বলেন, 'আপনি ব্রেকফাস্ট না করলে ক্যালোরির ঘাটতি হবে। ফলে প্রাথমিকভাবে ওজন কমবে। কিন্তু এর একটা খারাপ দিক রয়েছে। আসলে সকালে খাবার না খেলে ভুঁড়ি দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ সেন্ট্রাল ওবেসিটি দেখা দেয়। আর সেটা সবথেকে বেশি খারাপ। তাই সকালে না খাওয়ার ভুল করবেন না।'
তবে সমস্যা শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নেই। এর পাশাপাশি আরও হাজার বিপদ পিছু নিতে পারে বলে জানালেন মীনাক্ষী মজুমদার। তাই ঝটপট তাঁর কাছ থেকেই গোটা বিষয়টা জেনে নেওয়া যাক।
বেশি খাওয়া হয়ে যেতে পারে
অনেকেই ব্রেকফাস্ট করেন না। কিন্তু দুপুরে খিদের বশে অনেকটা খাবার খেয়ে নেন। আর এটাই তাঁদের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ না খেয়েও তেমন একটা লাভ হয় না। তাই নিয়ম মেনে ব্রেকফাস্ট করার পরামর্শ দিলেন মীনাক্ষী মজুমদার।
এনার্জির হতে পারে ঘাটতি
ব্রেকফাস্ট হল দিনের প্রধান খাবার। এটার মাধ্যমেই শক্তি সঞ্চয় করে শরীর। তারপর সারাদিন কাজ করে চলে। আর আপনারা যদি এই মিলটাই না খান, তাহলে বিপদ হতে পারে। সেক্ষেত্রে শরীর কাজ না করতে চাইতে পারে। পিছু নিতে পারে দুর্বলতা। পাশাপাশি মনটাও খারাপ থাকার রয়েছে আশঙ্কা। তাই সাবধান হতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যেভাবেই হোক এনার্জির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার। সেক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট করা মাস্ট।
পেটের সমস্যা নিতে পারে পিছু
সকালে না খেলে অন্ত্রে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়া অকালে প্রাণ হারাতে পারে। যার ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে ডায়েরিয়া, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা নিতে পারে পিছু। তাই সাবধান হন। রোজ ব্রেকফাস্ট খান। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন বলে মনে করেন মীনাক্ষী মজুমদার।
তাহলে ওজন কমাবেন কীভাবে?
তাঁর উত্তরে তিনি বলেন, 'একজন ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। নিয়ে ফেলুন ডায়েট চার্ট। সেই মতো খাবার খান। পাশাপাশি রোজ ৩০ মিনিট ব্যায়াম হল মাস্ট। ব্যাস, তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।'
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।