ভাত নাকি রুটি খাব? অনেকেই এই নিয়ে প্রশ্ন করেন। বিশেষত যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন, তাঁরা অনেকেই এই বিষয়ে জানতে চান। অনেকে আবার ভাত ও রুটি একসঙ্গে খান। অর্থাত্ অল্প ভাত, সঙ্গে একটি-দু'টি রুটি খান। কিন্তু ভাত না রুটি, কোনটি খাওয়া বেশি উপকারি? দু'টির পুষ্টিগুণই বা কেমন?
রুটি মূলত ময়দা/আটা, জল এবং সামান্য নুন দিয়ে মাখা হয়। ময়দা মাখার মাধ্যমে গ্লুটেন তৈরি হয়। অনেকে ময়দা বা আটার সঙ্গে তেল ব্যবহার করেন। অনেকে আবার রুটি বানানোর পর তাতে অল্প মাখন বা ঘি মাখাতে পছন্দ করেন।
রুটি কী দিয়ে মাখবেন?
রুটি আটা দিয়ে মাখলেই সবচেয়ে ভাল। ময়দার রুটির থেকে এটি খাওয়াই শ্রেয়। কেন? কারণ আটায় ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে। তাছাড়া এই ফাইবারের কারণে পেট দ্রুত ও অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। বারবার খিদে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। অথচ ফাইবারের ক্যালোরিও নেই। তাই যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা আটার রুটি খেতে পারেন।
রুটির পুষ্টিগুণ
সাধারণত একটি রুটি গড়ে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের হয়। সেই হিসাবে এতে মোট ২০২ ক্যালোরি পর্যন্ত মিলতে পারে। তার মধ্যে ৩১.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। ৩.৩-৬ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার। ৫ গ্রামের আশেপাশে ফ্যাট থাকে। সেই সঙ্গে প্রোটিনও পাবেন ৭.৭ গ্রাম।
ভাতের পুষ্টিগুণ
বাঙালিদের অনেকেই ভাত না খেয়ে থাকতে পারেন না। কেউ কেউ আবার রাতে ভাত না খেলে ঘুম আসে না, এমনও বলে থাকেন। কিন্তু ওজন কমাতে গেলে প্রথমেই ভাতের পরিমাণ কমাতে বলা হয়। ভাতে যে অনেক বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে তা প্রায় সকলেই জানেন। সত্যিই কি তাই? আসুন ভাতের পুষ্টিগুণের হিসাব দেখে নেওয়া যাক,
এক কাপ ভাতে মোট ২০৫ ক্যালোরি থাকে। তার মধ্যে ৪৪.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। ৪.৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সেই সঙ্গে ০.৪ গ্রাম ফ্যাট। তবে এক্ষেত্রে ডায়েটারি ফাইবার প্রায় থাকে না বললেই চলে। এক কাপ ভাতে মাত্র ০.৬ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার পাবেন।
ভাত না রুটি, কোনটি খাওয়া ভাল?
যদি আপনি খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে যে কোনও একটিই খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি লক্ষ্য থাকলে রুটি খাওয়াই ভাল। অন্যদিকে ভাত খেলে আপনাকে তার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সঙ্গে ফাইবারের জন্য পাতে শাক-সবজির পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হবে।