
কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রক্ত পরিশোধন, দেহের টক্সিন বের করে দেওয়া এবং বর্জ্য ফিল্টার করাই কিডনির প্রধান কাজ। তাই কিডনির যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। কারণ কিডনির রোগের উপসর্গ অনেক সময়েই প্রথম দিকে ধরা পড়ে না।
যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, পরিবারে কিডনি বিকলের ইতিহাস রয়েছে বা যাঁদের বয়স ৬০-এর বেশি, তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি। তাই কোনও উপসর্গকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় এবং বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
মূত্রে কয়েকটি পরিবর্তন কিডনির সমস্যা ইঙ্গিত করতে পারে। যেমন রাতে বারবার প্রস্রাব হওয়া। কিডনির ফিল্টার ঠিকমতো কাজ না করলেই এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবশ্য প্রয়োজনে প্রস্রাবের সংক্রমণ বা প্রোস্টেট বেড়ে গেলেও এই উপসর্গ হতে পারে। প্রস্রাবে রক্ত দেখা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। কিডনির ফিল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তকণিকা মূত্রে মিশে যেতে পারে এবং প্রস্রাব লালচে বা রক্তমাখা দেখাতে পারে। টিউমার, কিডনির পাথর বা সংক্রমণেও এই সমস্যা দেখা দেয়।
প্রস্রাবে ফেনা হওয়া বা ডিমের সাদা অংশের মতো বুদবুদ দেখা দিলেও সতর্ক হতে হয়। এটি সাধারণত প্রোটিন লিকেজের লক্ষণ। ফিল্টার নষ্ট হলে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিন প্রস্রাবে চলে আসে। এটি কিডনি বিকলের শুরুতে দেখা যাওয়া একটি সাধারণ উপসর্গ। সুস্থ কিডনি রক্তের লাল কণিকাগুলিকে ধরে রাখে এবং শুধু বর্জ্য ফিল্টার করে প্রস্রাবে পাঠায়। তাই প্রস্রাবে রক্ত বা ফেনা কোনও অবস্থাতেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। বারবার প্রস্রাবের রং, গন্ধ বা ঘনত্ব বদলে গেলে বা অতিরিক্ত ফেনা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করানো জরুরি। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে কিডনির সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে কিডনি বিকল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।