Sleep Deprivation: আজকের ব্যস্ত জীবনে মানুষের পর্যাপ্ত ঘুমের সময় নেই। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম মনকে শান্তি দেয় এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ঘুমের অভাবে অনেক রোগের সম্মুখীন হতে হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই বলে থাকেন যে কোনও ব্যক্তির অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমনো উচিত। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাহলে জেনে নিন, ৭ ঘণ্টার কম ঘুমোলে আপনার শরীরে কী ঘটে।
কেন ৭ ঘন্টা ঘুম গুরুত্বপূর্ণ?
৭ ঘন্টার মধ্যে, আপনার শরীর মেরামত মোডে যায়। এই সময়ে আপনার কোষ এবং পেশী পুনর্নির্মিত হয়। এতে আপনি সতেজ বোধ করেন। পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়াও আপনার মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে এবং আপনাকে সজাগ ও মনোযোগী রাখে। পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে, আপনার ইমিউন সিস্টেমও ভাল কাজ করে। আপনি ৭ ঘন্টার কম ঘুমোলে এটি আপনার শরীরের উপর কি প্রভাব ফেলে তা জেনে নিন।
সব সময় ক্লান্তি - আপনি যখন ৭ ঘন্টার কম ঘুমোন, তখন আপনার শরীরের ভিন্ন স্লিপ সাইকেলের মধ্য দিয়ে যেতে কম সময় থাকে। যার কারণে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনি ক্লান্ত বোধ করেন। এই ক্লান্তি সারাদিন ধরে চলতে পারে, যা মনোযোগ, ফোকাস এবং আপনার কাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া আপনার চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ওজন বৃদ্ধি- ঘুম এবং ওজন ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শরীরে গ্লোলিন ও লেপটিন নামের দুটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। গ্লোলিন হরমোন ক্ষুধাকে উদ্দীপিত করে, যখন হরমোন লেপটিন পেট ভরার সংকেত দেয়। যখন আপনি পর্যাপ্ত ঘুম পান না, তখন গ্লোলিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা আপনাকে আরও ক্ষুধার্ত করে তোলে, বিশেষত উচ্চ ক্যালোরি এবং চিনিযুক্ত খাবারের জন্য। এর সঙ্গে লেপটিন হরমোনের মাত্রাও কমতে শুরু করে যার কারণে আপনি পেট ভরা অনুভব করেন না। হরমোনের এই ভারসাম্যহীনতা বিশেষ করে সন্ধ্যায় ঘটে। যার কারণে ওজন বাড়তে থাকে।
মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব- কম ঘুম আমাদের মানসিক অবস্থার উপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে। আমরা ঘুমনোর সময়, আমাদের মস্তিষ্কও নতুন শক্তি সংগ্রহ করে। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ব্রেন সতেজ থাকে না, যার কারণে অনেক মানসিক সমস্যা দেখা দেয় এবং অনেক সময় স্মৃতি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দেয়।
হার্ট অ্যাটাক- যখন আমরা ঘুমোই, তখন আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ মেরামত এবং পরিষ্কার য় হয়, কিন্তু ঘুমের অভাবে শরীর থেকে টক্সিন পরিষ্কার হয় না এবং যার কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।