স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য কত কী-ই না করেন সকলে। চুলের স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর জন্য বাজারে হরেক রকমের শ্যাম্পু, তেল, কন্ডিশনার রয়েছে। কিন্তু আদৌ কি ওই সব জিনিস চুলে মাখা ভাল? আর মাখলেও উপকার পাওয়া যায় না। বরং অনেকেই অভিযোগ করেন, বাজারের শ্যাম্পু, তেল লাগালে চুল নষ্ট হয়ে যায়। তাই চুলের জেল্লা বাড়াতে এবং চুল ভাল করতে কী করবেন?
চুলের স্বাস্থ্য কেমন হবে, তা নির্ভর করে জীবনযাপন, খাদ্যাভাসের উপর। দূষণের কারণে এবং পুষ্টির অভাবে চুলের সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষ করে সমস্যায় পড়েন মহিলারা। আগেকার দিনে মহিলাদের চুল ঘন কালো এবং লম্বা হত। কিন্তু ইদানীং চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেক মহিলারাই। বাজারে অনেক রকম পণ্য পাওয়া যায় ঠিকই, তবে চুলে লাগালে তা থেকে খুব একটা সুরাহা মেলে না। এই পরিস্থিতিতে তা হলে কী করবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে নারকেলের দুধ খুবই উপকারী হতে পারে। নারকেলের দুধে অনেক পুষ্টি রয়েছে। যা ব্যবহার করলে চুল মজবুত হবে। সেই সঙ্গে চুলে জৌলুস বাড়বে। ভিটামিন, খনিজ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ নারকেলের দুধ চুলের জন্য দারুণ কাজ দেবে।
কোথায় পাবেন নারকেলের দুধ?
বাজারে নারকেলের দুধ পাওয়া যায়। তবে যদি আপনি নিজেই নারকেলের দুধ বানান বাড়িতে, তা হলে আরও উপকারী হবে।
কী ভাবে চুলে লাগাবেন নারকেলের দুধ?
নারকেল দুধ কন্ডিশনার: নারকেলের দুধ কন্ডিশনারের জন্য নারকেল দুধ এবং দু'চামচ আর্গন তেল এক সঙ্গে মেশাতে হবে। তার পরে তা ভেজা চুলে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে জল দিয়ে ধুলে ফেলুন।
নারকেল দুধ এবং কারি পাতার মাস্ক: এটি তৈরি করতে হলে প্রথমে আধ কাপ নারকেলের দুধ এবং ১০-১৪টি তাজা কারি পাতা নিতে হবে। তার পর এই মিশ্রণটি গরম করতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর তা চুলে লাগান।
নারকেল দুধ এবং মেথি বীজ মাস্ক: এই মাস্কটি তৈরি করতে আধ কাপ নারকেল দুধে দু'চামচ মেথি বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। তার পরে চুলে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। চুল ভাল করে পরিষ্কার করুন।