COPD এর লক্ষণআজ বিশ্ব COPD দিবস। এই রোগটা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই পালন করা হয় দিনটি। কিন্তু তারপরও মানুষ সিওপিডি নিয়ে উদাসীন। যার ফলে বাড়ছে বিপদ। তাই সময় থাকতে সিওপিডি কাকে বলে, এই রোগের লক্ষণ, কাদের হয় এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আশিস মিত্রের থেকে।
সিওপিডি কী?
COPD এর পুরো কথা হল ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। এই রোগে আক্রান্ত হলে ফুসফুসের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়। যার ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আর এটি প্রোগ্রেসিভ লাং ডিজিজ। সহজ ভাষায় বললে, ঠিক সময়ে যদি রোগটার চিকিৎসা না করেন, তাহলে এটা বাড়তে পারে। তাই সিওপিডি নিয়ে সাবধান হতে হবে বলে জানালেন ডাঃ মিত্র।
এর সঙ্গে অ্যাজমার তফাত কী?
ডাঃ মিত্র বলেন, 'অ্যাজমা সাধারণত সেরে যায়। বছরে এক-আধবার এর অ্যাটাক হতে পারে। কিন্তু সিওপিডি সারে না। এই অসুখটা নিয়েই চলতে হয়। এটাই হল অ্যাজমার সঙ্গে সিওপিডি-এর মূল তফাত।'
লক্ষণটা কী?
এই চিকিৎসকের কথায়, 'এই রোগের মূল লক্ষণ হল কাশি। পাশাপাশি খুব কফ ওঠে। এই ধরনের সমস্যা বছরে ৩ মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। কিছুতেই কাশি যেতে চায় না। আর এমনটা পরপর ২ বছর হলে ধরে নিতে হবে সিওপিডি হয়েছে। তবে রোগটা একটু বাড়াবাড়ি দিকে গেলে শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এটাও এই অসুখের অন্যতম লক্ষণ। মোটামুটি এই দুই লক্ষণেই সিওপিডি বোঝা যায় বলে মনে করেন ডাঃ মিত্র।'
রোগ নির্ণয় কীভাবে?
ডাঃ মিত্র বলেন, 'এই অসুখ সম্পর্কে জানতে চাইলে সবার প্রথমে রোগীর হিস্ট্রি নিতে হয়। পাশাপাশি শুনতে হয় বুকের শব্দ। এরপর দিতে হয় পালমোনারি ফাংশন টেস্ট বা পিএফটি। তাতেই রোগটা ধরা পড়ে যায়।'
কাদের বেশি হয়?
ডাঃ মিত্র জানান, সাধারণত ধূমপায়ীদের মধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এছাড়া যে সব মহিলারা কাঠ দিয়ে উনুন জ্বালিয়ে রান্না করেন, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া খুব দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিলেও পিছু নিতে পারে এই সমস্যা।
চিকিৎসা কী?
এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা হল ইনহেলার। এই ওষুধটি সরাসরি ফুসফুসে গিয়ে কাজ করে। যার ফলে রোগীর সমস্যা কমে বলে জানালেন ডাঃ মিত্র।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।