Ozempic: এই ওষুধেই ফ্যাট গলাচ্ছেন সেলেবরা, কিন্তু এফেক্ট মারাত্মক, জানলে আঁতকে উঠবেন

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন কমানোর সহায়ক হিসেবে ওজেম্পিক (Ozempic) নামক একটি ওষুধ বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি মূলত টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওজন কমানোর জন্যও এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওজেম্পিকের কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Ozempic কী?

ওজেম্পিক হল একটি ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য ওষুধ, যার সক্রিয় উপাদান হলো সেমাগ্লুটাইড (Semaglutide)। এটি গ্লুকাগন-লাইক পেপটাইড-১ (GLP-1) রিসেপ্টর অ্যাগোনিস্ট নামক ওষুধের শ্রেণির মধ্যে পড়ে।

এই ওষুধটি শরীরের ইনসুলিন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি এটি ক্ষুধা কমিয়ে দেয়, ফলে ব্যবহারকারীদের ওজন কমতে পারে। মূলত, ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়, তবে এর ওজন হ্রাসের গুণাবলীর জন্য অনেকে এটি গ্রহণ করছেন।

Ozempic-এর ক্ষতিকর দিক

যদিও ওজেম্পিক অনেকের জন্য কার্যকরী, তবে এটি ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।

1. বমি বমি ভাব ও পেটের সমস্যা: অনেক ব্যবহারকারী বমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্মুখীন হন। এটি বিশেষ করে ওষুধ নেওয়ার প্রথম কয়েক সপ্তাহে বেশি দেখা যায়।

2. খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর সমস্যা: কিছু ক্ষেত্রে, এটি গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস (পাকস্থলীর খালি হতে দেরি হওয়া) ঘটাতে পারে, যা হজম সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

3. ডিহাইড্রেশন ও ক্লান্তি: দীর্ঘ সময় ধরে এই ওষুধ গ্রহণ করলে শরীর পানিশূন্যতায় ভুগতে পারে, যা দুর্বলতা ও ক্লান্তির কারণ হতে পারে।

4. অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ (Pancreatitis): গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি কিছু রোগীর ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহের কারণ হতে পারে, যা অত্যন্ত ব্যথাযুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

5. কিডনির সমস্যা: দীর্ঘমেয়াদে এটি কিডনির কার্যক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি ব্যবহারকারীর আগে থেকেই কিডনির সমস্যা থাকে।

6. থাইরয়েড টিউমার ও ক্যানসারের সম্ভাবনা: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি থাইরয়েড গ্রন্থিতে টিউমার বা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যদিও এটি এখনো পুরোপুরি প্রমাণিত নয়, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

ওজেম্পিক টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি কার্যকরী ওষুধ হলেও, এটি ব্যবহারের আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সম্পর্কে জানা উচিত। বিশেষ করে, এটি ওজন কমানোর জন্য যারা ব্যবহার করছেন, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ভুলভাবে গ্রহণ করলে এটি স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, এই ওষুধ গ্রহণের আগে নিজের শারীরিক অবস্থা এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জানা গুরুত্বপূর্ণ।