Heart Attack Prevention in Hot Summer: হার্ট অ্যাটাক, এই শব্দটি শুনলেই বুকের মধ্যে কেমন ছ্যাঁত করে ওঠে। গত কয়েক বছরে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটেছে। আবার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তালিকায় রয়েছেন সেলেব্রিটারও। কম বয়সিরাও আচমকা এই রোগের শিকার হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই হার্ট অ্যাটাক ঘিরে মানুষের মনে ভীতি তৈরি হয়েছে।চিকিৎসকদের মতে, আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল হার্ট। তাই হার্ট ভাল রাখা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর হার্ট সুস্থ থাকলে আপনিও সুস্থ থাকবেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের খেয়াল রাখা খুবই জরুরি।
এখন কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। প্রবল গরমে জীবন একেবারে নাজেহাল। চড়া রোদে মানুষের অবস্থা খারাপ। যখন তখন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তীব্র গরমের ফলে আপনার অজ্ঞাতসারে বাড়তে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও। বিপদের সামনে এসে দাঁড়াতে পারে যখন তখন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনও আগাম সঙ্কেত ছাড়াই আসে। হৃদ্স্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
শীতকালে সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও গরমেও যখন তখন হানা দিতে পারে হৃদ্রোগ। হিট স্ট্রোকের ফলে হঠাৎ আপনার রক্তচাপ কমে যেতে পারে, আর তখনই ঘটতে পারে বিপত্তি! কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়তে থাকা মানসিক চাপ এবং চাপা উদ্বেগও হৃদ্রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে। ধমনী ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনযুক্ত পরিশুদ্ধ রক্ত হৃদ্যন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃদ্যন্ত্রের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। গরমের দিনে সামান্য কিছু খেলেই হজম করতে বেশ অসুবিধা হয়। বদহজম হলে হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ে। সুতরাং সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।
এই মারাত্মক গরমে কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াবেন
১. প্রচুর পরিমাণে জল খান। শরীরের তাপমাত্রা যত স্বাভাবিক থাকবে, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে।
২. গরমে যত হালকা খাবার খান, সেটাই হার্টের জন্য ভালই।
৩. শাকসবজি, বাদাম, ফল বেশি করে খান। এতে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
৪. গরমে ক্লান্ত লাগলেও শরীরচর্চা বাদ দেবেন না। ভারী শরীরচর্চা না করলেও সন্ধের পর হাঁটাহাঁটি করুন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেও কমানো যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।
৫. ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশনের মতো ক্রনিক অসুখ ডেকে আনতেই পারে। আর এই সব শারীরিক অবস্থা হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করে।