Body Odor From Perspiration: কিছু মানুষের ঘামে এতই দুর্গন্ধ হয় যে তাঁদের পাশে বসা বা দাঁড়ানো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। ঘাম থেকে দুর্গন্ধের কারণে এমন লোকদের বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। অনেকেই বেশি ঘামেন। এটা শারীরিক গঠনের উপর নির্ভর করে। কিন্তু কেউ যদি হঠাৎ বেশি ঘামতে শুরু করে, তাহলে কিন্তু তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
ঘামে কেন দুর্গন্ধ হয়?
ঘামের নিজস্ব কোনও গন্ধ নেই। ঘাম যখন ত্বকে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে, তখন তা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ত্বকের পৃষ্ঠে উপস্থিত ঘাম গ্রন্থি থেকে ঘাম আসে। আমাদের শরীরে দুই ধরনের ঘাম গ্রন্থি রয়েছে একক্রাইন এবং অ্যাপোক্রাইন। অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিগুলি শরীরে গন্ধ তৈরির জন্য দায়ী।
একজন ব্যক্তি যদি প্রচুর ঘামেন, তবে এর অর্থ এই নয় যে তার শরীর থেকেও দুর্গন্ধ হবে। আপনার শরীরে কী ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে এবং এই ব্যাকটেরিয়াগুলি ঘামের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করে তার ওপর নির্ভর করে শরীর থেকে গন্ধ।
কী খেলে ঘামে দুর্গন্ধ বাড়ে?
ঘাম হওয়া শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কিছু জিনিস খেলে জেনেটিক্স এবং স্বাস্থ্যবিধির কারণে ঘামে দুর্গন্ধ হতে থাকে। পেঁয়াজ, রসুন, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি, রেড মিট এগুলি নিয়মিত খেলে ঘামে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। ক্যাফেইন, মশলাদার জিনিস, অ্যালকোহল ঘামের তাৎক্ষণিক দুর্গন্ধ তৈরি করে।
এছাড়া ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ওষুধ খাওয়া, সাপ্লিমেন্টস। ঘাম থেকে দুর্গন্ধের জন্য কিছু রোগ অথবা শারীরিক অবস্থাও দায়ী, যেমন ডায়াবেটিস, গাউট, মেনোপজ, অতিরিক্ত সক্রিয় থাইরয়েড, যকৃতের রোগ, কিডনি রোগ, সংক্রামক রোগ
কোন কোন রোগ পাকলে ঘামের দুর্গন্ধ হয়?
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে, ঘামের গন্ধে পরিবর্তন ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিসের লক্ষণ হতে পারে। উচ্চ কিটোনের মাত্রার কারণে আপনার রক্তে অ্যাসিডিক হয়ে যায়। যার কারণে আপনার ঘাম থেকে একটি ফলের গন্ধ বের হয়। লিভার বা কিডনির রোগ হলে শরীরে টক্সিন জমা হয়। যার কারণে ঘামে ব্লিচের মতো গন্ধ হয়।