হাড় শক্ত করার খাবারশীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জয়েন্টে ব্যথা একটা রোজকার সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যাটি এখন আর বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং যুবকরাও এই রোগে ভুগছেন। চিকিৎসকেরা বলেন, এর প্রধান কারণ হল ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। অনেকেই তাদের শরীর গঠনের জন্য প্রচুর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খায় ঠিকই, কিন্তু এর ফলে ক্যালসিয়ামকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন।
চিকিৎসকেরা বলেন, মানুষ এখন আগের মতো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছে না। ফলে অল্প বয়সেই হাড় দুর্বল হয়ে পড়ছে। অনেকে রয়েছেন যারা দুধ বা পনির খেতে পছন্দ করেন না। তাঁরা মনে করেন এই দুটি খাবারই সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম দেয়। কিন্তু আসলে বিষয়টি তেমন নয়। এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলিতে দুধের চেয়েও বহুগুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। এখানে শীতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য বেশ কয়েকটি খাবারের নাম দেওয়া হল।
বাদাম
কাজু ও আখরোটের পাশাপাশি, অনেকেই বাদাম খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু তাঁরা জানেন না বাদাম খাওয়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতেও সাহায্য করে। বাদাম মস্তিষ্কের পাশাপাশি হাড়ের জন্যও উপকারী। ১০০ গ্রাম বাদামে প্রায় ২৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। শীতকালে প্রতিদিন ৫-৭টি ভেজানো বাদাম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।
তিল
তিলের বীজকে শীতকালীন সুপারফুড হিসেবে মনে করা হয়। ১০০ গ্রাম তিলের বীজে প্রায় ৯৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। লাড্ডু, চাটনি, স্যালাডে তিল দিয়েও খাওয়া যেতে পারে। শীতকালে নিয়মিত তিল খেলে হাড় মজবুত হয়। তিল দেখতে ছোট হলেও এটা ক্যালসিয়ামের পাওয়ার হাউস হিসেবে ধরা হয়। যদি কোনও ব্যক্তি প্রতিদিন অল্প পরিমাণেও তিল খান। তাহলেও তাঁর হাড়ের দুর্বলতার সমস্যা হবে না।
বাজরা
তিলের বীজ ছাড়াও বাজরা ক্যালসিয়ামের জন্য দুর্দান্ত প্রাকৃতিক উৎস। একশ গ্রাম বাজরা তিন গ্লাস দুধের মতোই উপকারী, কারণ মাত্র ১০০ গ্রাম বাজরা ৩৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দেয়। শিশু, মহিলা এবং বয়স্ক সকলের জন্যই বাজরা উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
সয়া জাতীয় খাবার
পনির ও দুধ ছাড়াও ক্যালসিয়াম পাওয়া সম্ভব। এরজন্য খাদ্যতালিকায় সয়াবিন, টোফু রাখলেই চলবে। এগুলি সবই ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে কাজ করে। ১০০ গ্রাম টোফুতে প্রায় ৩৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।