গোটা ভারত, বা প্রায় গোটা এশিয়ার রান্নাতেই হলুদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পছন্দের মশলা। বাঙালির হেঁশেলও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হল হলুদ। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের রান্নায় মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে হলুদ। এটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, হলুদের রয়েছে দারুণ ওষধি গুণ। জানুন হলুদের গুণাগুণ।
ত্বকের বয়স কমায়
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য রক্ষা করতে ও ত্বকের বয়স কমাতে দারুণ কাজ করে কাঁচা হলুদ। হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচায়। ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা ও ট্যান থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য কাঁচা হলুদের পেস্ট মুখে লাগাতে পারে।
সংক্রমণ থেকে বাঁচায়
হলুদে মজুত কারকিউমিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে বাঁচায়। এছাড়াও এটি খাদ্যনালীর প্রদাহের সম্ভাবনা কমায়।
সর্দি- কাশিতে থেকে রক্ষা করে
কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায় ও সর্দিকাশি থেকে আরাম দেয়। এছাড়া হলুদে থাকা কারকিউমিন ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি -কাশি কমাতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়া কমাতে
কাঁচা হলুদের রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ। যা, অ্যানিমিয়ার হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। মেয়েদের সাধারণত অ্যানিমিয়া হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই তারা কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খান, তারা উপকার পান। হলুদে থাকা কারকিউমিন লোহিত রক্তকণিকাকে রক্ষা করে।
ক্যান্সার দূর করতে
কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন ক্যান্সার দূর করতে সহায়তা করে। কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে তাদের মৃত্যু ঘটায়। ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
ডায়াবেটিসের জন্য ভাল
হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে মজুত ইনসুলিন হরমোনের ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও অগ্ন্যাশয়কে সুস্থ রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে তা শরীরে মেদ জমতে বাধা দেয় ও মেটাবলিজমের হার বাড়ায়। তাই যারা ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য চিন্তায় রয়েছেন, তারা নিয়মিত খেতে পারেন কাঁচা হলুদ।
হাঁপানি কমাতে উপকারী
যাদের হাঁপানি আছে, তারা নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে সহজে উপকার পাবেন। হলুদে থাকা কারকিউমিন শ্বাসনালীর পথে থাকা বাধাকে দূর করে ও শ্বাস নেবার ক্ষমতা বাড়ায়।
তবে কোনও কিছুই কম বা বেশি খাওয়া ভাল না। তাই আপনার শরীরের জন্য হলুদ কতটা খাওয়া উপযুক্ত, তা জানতে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।