Fat Loss Tips: ব্যস্ত জীবনে, মানুষ প্রায়শই তাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দেয় না। অনেকেই খুব তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে ফেলেন। অনেকে দাঁড়িয়ে বা বিছানায় শুয়ে খাবার খায়। আর এটাই ওজন বৃদ্ধির কারণ। তাই যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনাকে টেবিল বা চেয়ারে বসে খেতে হবে।
আসলে, টেবিল এবং চেয়ারে বসে খাবার খাওয়া আপনাকে আরও সুসংগঠিত জীবনযাপনের অভ্যাসে পরিণত করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে খাওয়ার উপর মনোযোগ দিতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। এছাড়াও, এই অভ্যাস হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। আপনার সন্তুষ্টি অনুসারে খাওয়া শরীরকে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের সম্ভাবনা কমে যায়। তবে, আরও কিছু অভ্যাস আছে যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। আসুন জেনে নিই সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে।
ধীরে ধীরে খাওয়ার এবং ভালো করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন
যদি আপনি ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে ধীরে ধীরে খাওয়ার এবং খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে দ্রুত খাওয়া অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। সঠিক সময়ে দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়া শুরু করুন।
সঠিক সময়ে দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়া শুরু করুন
ওজন কমানোর জন্য খাবারের সময়ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে সকালের ব্রেকফাস্ট, দুপুরের লাঞ্চ এবং রাতের ডিনার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতে দেরিতে খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে। কারণ সেই সময় শরীরের হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। অতএব, ঘুমনোর দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। দুপুরের খাবারের পর হালকা শারীরিক ব্যায়াম করাও প্রয়োজন।
হাইড্রেটেড থাকুন
পর্যাপ্ত জল পান করলে আপনার বিপাকক্রিয়া সুস্থ থাকে এবং আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খাওয়ার পরপরই খুব বেশি জল পান করবেন না। এটি হজম ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্যায়াম আপনার দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ হওয়া উচিত
নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ ওজন কমানো সহজ করে তুলবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। তবেই আপনার ওজন কমবে।
কার্ডিও এক্সাসাইজ
দৌড়ানো, সাইকেল চালানো এবং সাঁতার কাটার মতো কার্ডিও ব্যায়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
শক্তি প্রশিক্ষণ
ওজন উত্তোলন এবং বডিওয়েট ব্যায়ামের মতো স্ট্রেংথ ট্রেনিং ব্যায়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
জীবনধারার অভ্যাস
পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। জেনে নিন কিভাবে মানসিক চাপ ওজন বাড়ায়-
১. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: কম ঘুম হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে, যা ক্ষুধা বাড়াতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
২. ধীর বিপাক: কম ঘুম বিপাক ক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে, যা শরীরের ক্যালোরি পোড়ানোর ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
৩. ক্ষুধা বৃদ্ধি: কম ঘুম ক্ষুধা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪. ব্যায়ামের অভাব: কম ঘুমের ফলে ব্যায়ামের শক্তি এবং অনুপ্রেরণা কমে যেতে পারে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ কমানো ওজন কমাতে সাহায্য করে, কারণ মানসিক চাপ ক্ষুধা বাড়াতে পারে। জেনে নিন কীভাবে মানসিক চাপ ওজন বাড়ায়-
১. কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
২. ক্ষুধা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ক্ষুধা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, যার ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা সম্ভব।
৩. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: মানসিক চাপের কারণে প্রায়শই মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন জাঙ্ক ফুড এবং মিষ্টি গ্রহণ করে।
৪. ব্যায়ামের অভাব: মানসিক চাপের কারণে শক্তি কমে যেতে পারে এবং ব্যায়ামের প্রতি অনুপ্রেরণা কমে যেতে পারে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাই যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, সুষম খাদ্য গ্রহণ করেন এবং উপরে উল্লেখিত অভ্যাসগুলো ত্যাগ করেন, তাহলে আপনার ওজন দ্রুত কমবে।
(Disclaimer: আমাদের নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। আরও তথ্যের জন্য আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)