Weight Loss Morning Routine: সকালের শুরুটাই যদি ঠিক ভাবে হয়, সারাদিন শরীর-মনের উপর তার প্রভাব পড়ে। গবেষণা বলছে, দিনের শুরুতে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে ওজন কমানোর পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতামতের ভিত্তিতে এমনই পাঁচটি সকালের অভ্যাস তুলে ধরা হল, যা নিয়মিত পালন করলে ধীরে ধীরে কমতে পারে ওজন।
১. ভোরে ঘুম থেকে উঠুন
সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে শরীরের বিপাক হার কমে যেতে পারে। ফলে শরীরে ক্যালোরি বার্ন কম হয়, এবং ক্ষুধাও বেড়ে যায়। ভোরে উঠে দিন শুরু করলে শরীরে সতেজ ভাব আসে, মুড ভালো থাকে, এবং সক্রিয় থাকার ইচ্ছে বাড়ে। এতে ব্যায়াম করার মানসিকতাও তৈরি হয়।
২. উঠেই জল খান
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জল খান। এতে দেহের বিপাক ক্রিয়া সক্রিয় হয়, শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যায়, এবং ক্ষুধাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। জল খেলে পেট কিছুটা ভর্তি লাগে, ফলে সকালের খাবারে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
৩. প্রোটিনযুক্ত ব্রেকফাস্ট
সকালের খাবারে প্রোটিন যোগ করা খুব জরুরি। ডিম, দুধ, দই, বাদাম জাতীয় খাবার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয় এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এতে মাঝেমাঝে ক্ষুধা পাওয়া বা চটজলদি কিছু মুখে তোলার প্রবণতা কমে যায়।
৪. ধ্যান বা যোগাসন
ভোরের শান্ত পরিবেশে কয়েক মিনিট ধ্যান করুন বা হালকা যোগাভ্যাস করুন। এতে মন শান্ত হয়, স্ট্রেস কমে। স্ট্রেস থেকে করটিসল হরমোন নিঃসরণ হয়, যা ওজন বাড়ানোর অন্যতম কারণ। স্ট্রেস কমাতে পারলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
৫. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম
প্রতিদিন সকালে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটা, হালকা দৌড় বা সাইকেল চালানোর অভ্যাস করুন। এতে ক্যালোরি খরচ হয়, ফ্যাট ঝরে, এবং দেহের শক্তি বাড়ে। যাঁরা ভারী ব্যায়াম করতে পারেন না, তাঁদের জন্য হালকা এক্সারসাইজই যথেষ্ট উপকারী।
বিজ্ঞান বলছে, সকালের কিছু কাজ শরীরের বিপাক হারে প্রভাব ফেলে। সক্রিয় দিন শুরু করলে শরীর বেশি ক্যালোরি খরচ করতে পারে। একই সঙ্গে প্রোটিন ও জল খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর স্ট্রেস কমানো মানেই করটিসলের প্রভাব কম, মানে চর্বি জমার আশঙ্কাও কম।
কী করবেন, কী করবেন না
হঠাৎ করে কোনও কঠিন ডায়েট বা ব্যায়াম শুরু করবেন না।
ওজন কমানোর পরিকল্পনার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ধৈর্য রাখুন। সময় দিন শরীরকে বদলাতে।
খাবারে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন ও ফাইবার বাড়ান।
পর্যাপ্ত ঘুম, জলপান ও রুটিন মেনে চলাই সেরা উপায়।