তেল ছাড়া রান্নার কথা ভাবাই যায় না। কিন্তু আজকালকার ব্যস্ত জীবনে অতিরিক্ত তেল খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে অনেকের মধ্যেই। ঝালঝাল ভাজাভুজি খেতে যেমন ভাল লাগে, তেমনই এই অভ্যাস থেকে শরীরে জন্ম নিতে পারে নানা সমস্যা। চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করে বলেন, দৈনিক খাবারে তেলের পরিমাণ কমানো উচিত। কিন্তু যদি আপনি এক মাস ধরে তেল খাওয়া একেবারে বা অনেকটাই কমিয়ে দেন, তাহলে শরীরে কী কী পরিবর্তন আসে জানেন?
১. ওজন কমতে শুরু করে
তেল হচ্ছে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত উপাদান। প্রতিদিনের খাবারে অতিরিক্ত তেল মানে ক্যালোরি বেশি। তাই এক মাস তেল খাওয়া কমিয়ে দিলে শরীর নিজেই বাড়তি ক্যালোরি ঝরাতে শুরু করে, ফলে ওজন কমার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
২. হজম ক্ষমতা বাড়ে
অতিরিক্ত তেল খাবারে হজমে সমস্যা করে। এক মাস কম তেল খেলে পেটে ভারি ভাব কমে যায়, গ্যাস, অম্বল বা বদহজমের সমস্যা কমে। শরীর হালকা লাগে।
৩. ত্বক ও চুলে ইতিবাচক পরিবর্তন
তেল বেশি খেলে অনেক সময় ত্বকে ব্রণ, র্যাশ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তেল কমালে সেই সমস্যা কমে যায়। চুলে অতিরিক্ত তেল জমা না হওয়ায় স্ক্যাল্পও পরিষ্কার থাকে, ফলে খুশকি বা চুল পড়ার সমস্যা হ্রাস পায়।
৪. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে
অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় তেল রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু যখন আপনি এক মাস তেল খাওয়া কমিয়ে দেন, তখন শরীরে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) কমে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
৫. শরীরে এনার্জির তারতম্য দেখা দেয়
প্রথমদিকে তেল কমালে ক্লান্তি, দুর্বলতা লাগতে পারে, কারণ শরীর অভ্যস্ত থাকে তেলের উচ্চ ক্যালোরির জন্য। কিন্তু ধীরে ধীরে শরীর নিজেকে মানিয়ে নেয় এবং প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি ফিট অনুভব করতে পারেন আপনি।
৬. লিভার ও কিডনির উপরে চাপ কমে
তেল হজম করতে লিভারকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তাই এক মাস কম তেল খেলেই লিভারের উপরে চাপ অনেকটাই হ্রাস পায়। একইভাবে কিডনির কার্যক্ষমতাও স্বাভাবিক থাকে।