Mask Air Pollution: কোন ধরনের মাস্ক পরলে দূষণের বাতাস শরীরে ঢুকবে না? জানালেন ফুসফুস বিশেষজ্ঞ

দিল্লির বায়ুর মান খুবই খারাপ। প্রতিদিনই নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে AQI। তবে শান্তি নেই কলকাতা নিয়েও। আমাদের শহরেও বায়ুর মান স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। এমনকী বাংলার একাধিক জেলা সদরগুলিতেও AQI খারাপ। তাই এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই সুস্থ থাকতে পরছেন মাস্ক। কিন্তু প্রশ্ন হল, মাস্ক পরে কি আদৌ বায়ু দূষণ থেকে বাঁচা সম্ভব? সেক্ষেত্রে কোন ধরনের কোন ধরনের মাস্ক পরতে হবে? আর সেই উত্তরটাই আমাদের দিলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ অরূপ হালদার। 

Advertisement
কোন ধরনের মাস্ক পরলে দূষণের বাতাস শরীরে ঢুকবে না? জানালেন ফুসফুস বিশেষজ্ঞবায়ু দূষণে মাস্ক
হাইলাইটস
  • মাস্ক পরে কি আদৌ বায়ু দূষণ থেকে বাঁচা সম্ভব?
  • কোন ধরনের কোন ধরনের মাস্ক পরতে হবে? 
  • সেই উত্তরটাই আমাদের দিলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ অরূপ হালদার

দিল্লির বায়ুর মান খুবই খারাপ। প্রতিদিনই নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে AQI। তবে শান্তি নেই কলকাতা নিয়েও। আমাদের শহরেও বায়ুর মান স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। এমনকী বাংলার একাধিক জেলা সদরগুলিতেও AQI খারাপ। তাই এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই সুস্থ থাকতে পরছেন মাস্ক। কিন্তু প্রশ্ন হল, মাস্ক পরে কি আদৌ বায়ু দূষণ থেকে বাঁচা সম্ভব? সেক্ষেত্রে কোন ধরনের কোন ধরনের মাস্ক পরতে হবে? আর সেই উত্তরটাই আমাদের দিলেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ অরূপ হালদার। 

বায়ু দূষণ বিরাট ক্ষতি করে
AQI বেশি থাকার অর্থ বায়ুর মান খুবই খারাপ। এতে শরীরের হাল বিগড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ডাঃ হালদার।
১. সবার প্রথমে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
২. ইতিমধ্যেই অ্যাজমা এবং সিওপিডি থাকলে বিপদ হবে বেশি। তাদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।
৩. বায়ুতে উপস্থিত ধূলিকণা হার্টে পৌঁছে বাড়াতে পারে ইনফ্লামেশন। সেই কারণে হার্টের অসুখ হতে পারে।
৪. এই সময় বায়ুর মান খারাপ থাকার জন্য বারবার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
৫. বাচ্চা, বৃদ্ধ এবং গর্ভবতীদের সমস্যার আশঙ্কা বেশি এই কারণে।
৬. এই সময় নিউমোনিয়া আশঙ্কা বাড়ছে।

মাস্ক পরে কি বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে? 
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মাস্ক পরলে অবশ্য কিছুটা হলেও সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। তবে যে কোনও মাস্ক পরলে তেমন একটা উপকার পাবেন না। বরং আপনাকে এন৯৫ মাস্ক পরতে হবে। এগুলি বায়ুতে উপস্থিত অতি ক্ষতিকর পিএম২.৫ এবং পিএম ১০-এর মতো ক্ষুদ্র অতিক্ষদ্র ধূলিকণা অনেকটাই আটকে দেবে। যার ফলে আদতে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে।'

আর কী করা যেতে পারে? 
এই সমস্যা সমাধানে নিয়মিত মাস্ক পরতে হবে। পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিলেন তিনি। যেমন ধরুন-
১. বাইরে বেরনোর আগে সাবধান হতে হবে। চেষ্টা করতে হবে AQI বেশি থাকলে না বেরনোর।
২. ভোরের দিকে AQI থাকে বেশি। সেই সময় বাইরে না বেরনোই ভাল। তার বদলে সকাল ৯টার পর বাইরে যান। সেই সময় একটু ভাল থাকতে পারবেন।
৩. এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নেওয়া মাস্ট। পাশাপাশি নিউমোনিয়ার টিকাও নিতে হবে। 

Advertisement

ব্যাস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement