কোভিড-১৯ (COVID-19) ভাইরাসের নতুন করে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। হু-এর মতে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিশ্বজুড়ে SARS-CoV-2 ভাইরাসের রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে। WHO-এর তথ্য অনুযায়ী কোভিড পরীক্ষায় পজিটিভিটির হার ১১%-এ পৌঁছেছে। যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ।
WHO বলছে যে এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। ভাইরাসের রূপেও পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে করোনার ভেরিয়েন্টে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। LP.8.1 রূপটি হ্রাস পাচ্ছে। NB.1.8.1 কে Variant Under Monitoring বিভাগে রাখা হলেও এর সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই রূপটি গোটা দুনিয়ায় মোট জিনোমিক সিকোয়েন্সের ১০.৭%।
WHO-এর মতে, বর্তমান সংক্রমণের মাত্রা গত বছরের এই সময়ের মতোই একই আছে। এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর বিস্তারে কোনও স্পষ্ট ঋতুগত ধরণ দেখা যায়নি। একাধিক দেশে এখনও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সীমিত। যা উদ্বেগের বিষয়।
WHO-এর সুপারিশ
WHO সমস্ত সদস্য দেশকে কোভিড রোখার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের পরামর্শ, টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ করবেন না। তা চালিয়ে যান। বিশেষ করে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া উচিত। গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যু আটকানোর জন্য টিকা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
কোভিড নিয়ে বিশেষজ্ঞের মত
দিল্লি এইমসের প্রাক্তন অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া করোনা সম্পর্কে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের একটি নতুন রূপ JN.1 এসেছে। এই রূপটি ২০২৩ সালের অগাস্টে রিপোর্ট করা হয়েছিল। এটি এখন সমগ্র বিশ্বে সর্বোচ্চ। এই রূপটিতে কিছু মিউটেশন রয়েছে। যার কারণে এটি আরও সংক্রমণ ঘটায়। ঠান্ডা, ফ্লু, জ্বর, কাশি, চুলকানি সৃষ্টি করে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস আছে অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এমন ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।