পশ্চিমবঙ্গে AQIমাথা ব্যথার অপর নাম AQI বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স। এর মাধ্যমে বায়ুর মান মাপা হয়। AQI যত বেশি, বায়ুর মান তত খারাপ। আর সেই কারণেই দিল্লির AQI নিয়ে সারা দেশেই চলছে আলোচনা। সেখানে প্রায়দিনই ৪০০-এর উপরে চলে যাচ্ছে AQI। কিন্তু দেশের রাজধানী নিয়ে কথা হলেও ভাল নেই কলকাতাও। এই শহরের বায়ুর মানও স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। পাশাপাশি জেলার সদরগুলির অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়। আর এই বিষয়গুলি নিয়েই চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
কেন জেলাগুলির বায়ুর মানও খারাপ হচ্ছে?
এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, 'আসলে এই সময় যতটা ঠান্ডা পড়ার কথা, ততটা পড়েনি। জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আর সেটাই মূলত বায়ুর মান খারাপ হওয়ার কারণ।'
তিনি নিজের কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, 'শীতের সময় উত্তুরে হাওয়া যেভাবে চলার কথা, সেটা চলছে না। যার ফলে বায়ুতে ভাসমান কণাগুলি উপস্থিত থাকছে। এই জন্যই খারাপ হচ্ছে বায়ুর মান।'
পাশাপাশি এই সময় বায়ু অত্যন্ত শুষ্ক থাকা এবং বৃষ্টি না হওয়ার কারণেও বায়ুর মান খারাপ হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে তিনি এই সমস্যার জন্য সারা পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেন। এটাই বায়ুর মান খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ বলে মনে তিনি।
কী করা যেতে পারে?
বায়ুর মান এত খারাপ হওয়ার কারণে বিপদে পড়তে পারে শরীর। অ্যাজমা, সিওপিডি-এর মতো সমস্যা এই সময় বাড়তে পারে। পাশাপাশি নিউমোনিয়ার প্রকোপও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানালেন বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ অরুপ হালদার। পাশাপাশি বায়ুর মান খারাপ থাকার কারণে ত্বকের এবং হার্টের ক্ষতি হতে পারে বলেও জানালেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিলেন ডাঃ হালদার। সেগুলি হল-
১. ভোরের দিকে খুব খারাপ থাকে বায়ুর মান, তাই সেই সময় বেরবেন না
২. সকাল ৯টার পর বাইরে বেরতে পারেন
৩. বাইরে বেরনোর আগে AQI চেক করুন, খুব খারাপ থাকলে বেরবেন না
৪. ঘরের ভিতর ধূপ, ধুনো জ্বালাবেন না
৫. ধূমপান করা যাবে না
৬. বাইরে বেরলে এন৯৫ মাস্ক পরুন
৭. নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিন
৮. ইনহেলার চালিয়ে যান
ব্যাস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই উপকার পাবেন। সুস্থ থাকতে পারবেন বলে মনে করছেন এই চিকিৎসক।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।