অ্যান্টাবায়োটিকের সঙ্গে অ্যান্টাসিডঅ্যান্টিবায়োটিক একটি দারুণ ওষুধ। এই ওষুধটা জীবন বাঁচিয়ে দেয়। তাই ডাক্তারেরা ইনফেকশন বেগতিক দেখলেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেন। সেই সঙ্গে লিখে দেন একটা অ্যান্টাসিড। এখন প্রশ্ন হল, কেন অ্যান্টিবায়োটিক লিখলেই অ্যান্টাসিড খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা? আর সেই উত্তরটা bangla.aajtak.in-কে দিলেন কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল।
অ্যান্টিবায়োটিক কী?
সবার প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক কী ওষুধ? ডাঃ পাল বলেন, 'এটি একটি যুগান্তকারী ওষুধ। এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া মেরে জীবন বাঁচায়। তাই এই ওষুধটির এত চল সারা পৃথিবীতেই।'
কেন দেওয়া হয় অ্যান্টাসিড?
জীবনে অ্যান্টিবায়োটিক খাননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মোটের উপর সকলেই এই ওষুধ খেয়েছেন। আর সবাই দেখেছেন যে, অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে অ্যান্টাসিড দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন হল, কেন এমনটা করেন চিকিৎসকেরা? কেন দেওয়া হয় এই ওষুধটি? এই প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ পাল বলেন, 'অ্যান্টাসিড দেওয়ার প্রধান কারণ হল পেটের সমস্যা যাতে না হয়। আসলে অনেক ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অন্ত্রের হাল বিগড়ে যেতে পারে। যার ফলে শরীর হতে পারে খারাপ। গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে ডায়ারিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এই সমস্যাগুলি থেকে মানুষকে দূরে রাখার জন্যই অ্যান্টাসিড দেওয়া হয়। এই ওষুধ খেলেই শরীর সুস্থ থাকে। পেটের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।'
ডাঃ পাল আরও জানান, সাধারণত অ্যান্টাসিড দিনে একবার দেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই হাই ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তখন আবার প্রয়োজনে অ্যান্টাসিড বাড়ানো হয়। নইলে সমস্যা হতে পারে।
তিনি বলেন, 'বর্তমানে ব়্যানিটিডাইন জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয় না। আগে দেওয়া হতো। তার বদলে প্যান্টোপ্রাজল ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধ অনেক বেশি কার্যকরী। যার ফলে সুস্থ থাকে শরীর। পেট ভালো থাকে।'
নিজের বুদ্ধিতে অ্যান্টিবায়োটিক নয়
অ্যান্টিবায়োটিক খুবই জরুরি একটা ওষুধ। তবে এই ওষুধটা নিজের বুদ্ধিতে খাওয়া চলবে না। এই ভুলটা করলে আদতে ভুগবেন। কারণ, এটি নিজের বুদ্ধিতে খেলে আদতে পরে কাজ করবে না ওষুধটি। যার ফলে বিপদ বাড়বে। তাই এই চিকিৎসকের পরামর্শেই খেতে বললেন ডাঃ পাল।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।