ভুঁড়ি কমানোর ক্ষেত্রে কী কী ভুল হয়?অনেকেই দ্রুত গতিতে কমাতে চান ভুঁড়ি। সেই লক্ষ্য নিয়ে নিয়মিত করেন এক্সারসাইজ। তবে তাতেও লাভ হয় না। কিছুতেই কমতে চায় না পেটের মেদ। এখন প্রশ্ন হল, কেন এমনটা হয়? কী কারণে হাজার চেষ্টার পরও কমতে চায় না ভুঁড়ি? সেই উত্তরটা দেওয়া হল এই নিবন্ধটিতে। অবশ্য তার আগে পেটের মেদ কেন ক্ষতিকর, সেটা সম্পর্কে বিশদে জেনে নিতে হবে।
ভুঁড়িই শরীরের জন্য ক্ষতিকর
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে ভুঁড়ি হল শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর জন্য ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখ নিতে পারে পিছু। পাশাপাশি ফ্যাটি লিভারও বিপদে ফেলতে পারে। তাই যেভাবেই হোক ভুঁড়ি কমাতে হবে।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই হাজার চেষ্টার পরও ভুঁড়ি কমতে চায় না। আর তার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। যেমন ধরুন-
নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম না করা
প্রতিদিন ৩০ মিনিট অন্তত ব্যায়াম করতে হবে। তার কম সময় করলে চলবে না। এই ভুলের জন্যই অনেক সময় ভুঁড়ি কমে না। তাই এখন থেকে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। তাতেই ভুঁড়ি কমিয়ে দিতে পারবেন।
পরিশ্রম না করা
অনেকে আবার প্রতিদিন ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করেন। তবে তাঁরা ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম মানেন না। এমনকী যেই তীব্রতায় ব্যায়াম করলে ভুঁড়ি কমবে, সেটাও করা হয় না। যার ফলে কমতে চায় না ভুঁড়ি। উল্টে সমস্যা বাড়তে থাকে।
মিষ্টি খাওয়া
কিছু মানুষ এক্সারসাইজ করেন। আবার রোজ মিষ্টি খান। আর এই ভুলটা করেন বলেই ওজন কমে না। এমনকী ভুঁড়িও বৃদ্ধি পায়। তাই পেটের মেদ কমাতে চাইলে আপনাকে মিষ্টি খাওয়া ছাড়তে হবে। তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
ফাস্ট ফুডের প্রতি ভালোবাসা
নিয়মিত ফাস্ট ফুড খান নাকি? সেটাও যে ওজন বাড়াতে পারে। এমনকী বাড়াতে পারে ভুঁড়ি। তাই চেষ্টা করুন ফাস্ট ফুডের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার। তার বদলে শাক, সবজি খান ভাল পরিমাণে। তাতে উপকার মিলবে।
ভাত বেশি খাওয়া
অনেকেই বেশি পরিমাণে ভাত খান। আর এই ভুলটা করেন বলেই বিপদ বাড়ে। আসলে ভাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের ভাণ্ডার। আর এটি শরীরের হাল বিগড়ে দিতে পারে। পাশাপাশি বাড়াতে পারে ভুঁড়ি। তাই এখন থেকে ভাত খাওয়া কমান। তাতেই সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন।