
Constipation Relief: শীত পড়তেই অনেকেই নাজেহাল হন কোষ্ঠকাঠিন্যে। পেট না-পরিষ্কার থাকলে দিনটাই বিগড়ে যায়। অস্বস্তি, গ্যাস, ফুলো পেট, মাথা ভার, সব মিলিয়ে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়ম করে রাখা যায়, তবে এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি মিলতে পারে। ঘরোয়া উপায়েই পেট থাকবে চাঙ্গা, শরীর থাকবে হালকা।
১) পাকা পেঁপে
বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের উপদেশ এবার গবেষণাও মানছে। পাকা পেঁপের প্যাপাইন নামক উৎসেচক পরিপাকতন্ত্রকে কার্যকরভাবে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এই এনজাইম প্রদাহ কমায়, হজম শক্তি বাড়ায় এবং মল বের হতে সহজ করে। পেঁপেতে থাকা জল ও ফাইবার স্বাভাবিকভাবেই পেটের মল নরম করে, ফলে প্রতিদিন সকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমতে থাকে।
২) তিসি বীজ
তিসি বীজ জলে ভিজিয়ে রাখলে এটি জেলি জাতীয় পদার্থে বদলে যায়। পেটের ভেতর এই জেলি-জাতীয় আস্তরণ মল নাড়াচাড়া হতে সাহায্য করে ও সহজে বেরোতে দেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, পাতলা ঘোল বা ডালের জলে ভিজিয়ে তিসি খেলে আরও দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
৩) চিয়া বীজ
যাঁরা মলত্যাগের সময় ব্যথা বা অস্বস্তিতে ভোগেন, তাঁদের জন্য চিয়া বীজ অত্যন্ত কার্যকর। জলে ভিজিয়ে রাখলে চিয়া পিচ্ছিল হয়ে যায়, আর এতে থাকা প্রচুর ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে দারুণ সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে চিয়া ভেজানো জল, লেবুর রস মিশিয়ে বা ডাবের জলেও খেলে পেট হালকা থাকে সারাদিন।
৪) নিয়মিত ডাল
মুসুর, মুগ, অড়হর যে কোনও ডালেই ফাইবার ও প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং একই সঙ্গে পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত ডাল খাওয়ার অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমায়।
৫) রাঙা আলু
পটাশিয়াম, জল এবং ফাইবারে ভরপুর রাঙা আলু মল নরম করতে দারুণ কাজ করে। সেদ্ধ অবস্থায় হোক বা হালকা পোড়া নুন ও গোলমরিচ ছড়িয়ে খেলেও এটি সহজে হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।