কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কলায় অনেক ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে কলার পাশাপাশি এর মোচাও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হয়। মোচার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না, কিন্তু এটি ফলের মতোই অনেক উপকারী।
কলার মোচা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একই সঙ্গে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে কলা গাছের প্রায় প্রতিটি অংশই কোনও না কোনও উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফল ছাড়াও থোড় ও মোচা খাবারের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কলারমোচা ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
আয়ুর্বেদে কলার মোচার ক্বাথ পান করা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলা হয়েছে। এতে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। কলার মোচার সবজিও খেতে পারেন।
ওজন কমাতে সহায়ক
পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় কলার মোচা ওজন কমাতেও সহায়ক। ওজন কমানোর জন্য, সালাড এবং স্যুপে কলার মোচা অন্তর্ভুক্ত করুন।
মানসিক সাস্থ্য
কলা মোচা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার মুডকে বুস্ট করে। এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম মানসিক চাপ কমায় এবং বিষণ্ণতার সমস্যা থেকে দূরে রাখে। কলার মোচায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। মোচা ফ্রি র্যাডিক্যালকে দূরে রাখে। ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে আলঝেইমার এবং পারকিনসনের মতো রোগের ঝুঁকি থাকে, নিয়মিত কলার মোচা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
জরায়ুর সমস্যায়
কলা মোচার ক্বাথে হলুদের গুঁড়ো, গোলমরিচ ও জিরা মিশিয়ে সেবন করলে জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।
হজম
কলার ফুলে উপস্থিত ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এগুলি পাকস্থলীতে খাদ্য শোষণকে উৎসাহিত করতে সহায়ক। এর ক্বাথ নিয়মিত খেলে অ্যাংজাইটি দূর হয়।
এসব রোগের ঝুঁকি কমায়
মোচা ট্যানিন, অ্যাসিড, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলি ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এতে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। মোচার ক্বাথ কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।
প্রচুর আয়রন আছে
মোচায় সবচেয়ে বেশি আয়রন থাকে। এটি হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করে। শরীরের রক্তের অভাবও দূর করে। মোচায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই।