বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ২০২০: প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের কারণে মারা যায়। যখন রক্ত সরবরাহ মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশে পৌঁছায় তখনই স্ট্রোক হয় । রক্ত সরবরাহের কোন অংশ মস্তিষ্কে অবরুদ্ধ তার উপর এই রোগের লক্ষণগুলি নির্ভর করে। নিউরোলজিক ডিসঅর্ডারের কারণে শরীরে অনেকগুলি লক্ষণ দেখে আপনি এই রোগের ধারণা পেতে পারেন।
স্ট্রোকের লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে এবং এবিষয়ে সতর্ক থাকলে সময়মতো সেই ব্যক্তির জীবন বাঁচানো যায়। চিকিৎসার ভাষায় একে 'FAST'বলা হয়। আসুন বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে জানা যাক, এই রোগের লক্ষণগুলি কী কী।
F:ফেস ড্রুপিং বা মুখ বেঁকে যাওয়া - হাসির সময় যদি কোনও ব্যক্তির মুখ একদিকে প্রাণহীন দেখায় বা মুখের এক অংশ অসাড় হয় তবে বিপদ হতে পারে। এমনকি তার হাসিতেও একটি অদ্ভুত বৈষম্য থাকলে কিংবা কখনও হাসতে হাসতে মুখটি বেঁকে গেলে সাবধান হন।
A : আরম উইকনেস বা বাহু দুর্বলতা - সেই ব্যক্তিকে উভয় হাত বাড়াতে বলুন। যদি তাঁর হাত দুর্বল বা অসাড় দেখায় তবে বিষয়টি গুরুতর হতে পারে। হাতের মধ্যে নিম্ন ভারসাম্য, তাঁদের শরীরে নিম্নমুখী গতি স্ট্রোককে নির্দেশ করে।
S: স্পিচ ডিফিকাল্টই বা কথা বলতে অসুবিধা- যদি কোনও ব্যক্তির কথা বলতে অসুবিধা হয় বা শব্দগুলি সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে অক্ষম হন তবে স্ট্রোক সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে। এ জাতীয় ব্যক্তিকে একটি সাধারণ বাক্য বলতে বলুন। তিনি যদি সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে না পারেন তবে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
T: 'টাইম টু কল' বা ফোন করার সময় - যদি কোনও ব্যক্তি যদি এই জাতীয় লক্ষণগুলি দেখা যায় তবে চিকিৎসককে ফোন করুন এবং অবিলম্বে তাঁদের পরামর্শ নিন। যাতে এটির সময় মতো চিকিৎসা করা যায়।
এছাড়া স্ট্রোকের আরও অনেকগুলি লক্ষণ রয়েছে। এতে মানবদেহের শরীরের যে কোনও অঙ্গ দুর্বল বা খারাপ হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে পক্ষাঘাত বলে। এতে শরীরের যে কোনও অঙ্গ হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
অনেক সময় এটি মানুষের চোখকেও প্রভাবিত করে। রোগীর এক বা উভয় চোখ দিয়ে দেখতে অসুবিধা হতে পারে। তিনি সমস্ত কিছু অস্পষ্ট দেখতে শুরু করেন। এছাড়া মাথা ঘোরাও স্ট্রোকের একটি লক্ষণ।