একবিংশ শতাব্দীতে লোকেরা আকাশ ছোঁয়া ইমারতে নিজেদের স্বপ্নের আশিয়ানা তৈরি করতে চান। কিন্তু পৃথিবীর মধ্যে এমন কিছু আজব জায়গা রয়েছে, যেখানে বসতি এবং জীবনযাপনের আদব-কায়দা আপনাকে অবাক করে দেবে। শুধু অবাক হলে হবে না, অদ্ভুত তাদের বস্তি। মানুষতো সেখানে থাকেই পাশাপাশি এখানকার জনপ্রিয়তার কারণে এখানে ট্যুরিষ্ট ঝাঁকে ঝাঁকে হাজির হয়। আপনাকে এমন কিছু অদ্ভুত জায়গার বিষয় জানাই।
কুয়রপেরি
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার কুয়ারপেরি নামে একটি বিচিত্র গ্রাম আছে। যেখানে গ্রামে মাটির নীচে বসে রয়েছে দা মাইনিং টাউন নামে বিখ্যাত এই গ্রামটির মানুষ। সাধারণ শহর বা জনপদের মত নয়। তবে এখানে চার্চ, মিউজিয়াম, আর্ট গ্যালারি, বার, হোটেল, শুটিং স্পট মল এবং আরও বেশ কিছু আলিশান ঘর রয়েছে। এখানে মাটির নীচে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকে। যার কারণে অত্যন্ত ঠান্ডা।
হুয়াকাচাইনা
হুয়াকাচাইনা নামে একটি ছোট কসবা রয়েছে। যেখানকার চারিদিকে বালির টিলা দিয়ে ঘেরা। স্বর্গের মতো দেখতে এই জনপদের মরুভূমির ঠিক মাঝখানে মরুদ্দ্যান এর মত শস্য-শ্যামলা সবুজ জনপদ। এখানকার নীল জল এর সুন্দর সুইমিংপুল রয়েছে। হুয়াকাচাইনাতে স্টুডেন্ট লাইব্রেরি দোকান এবং লাইব্রেরির সুবিধা রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা এটাকে স্বর্গের চেয়ে কম বলে মনে করেন না।
হ্যাঙ্গিং মনেস্ট্রি
ভারতের পড়শি দেশ চিনে পাঁচটি খতরনাক পাহাড় রয়েছে। যার মধ্যে একটি সানজি প্রান্তের হ্যাঙ্গিং মাউন্টেন। পাহাড়ের কোনায় হাওয়াতে ঝুলন্ত বাড়ি বানানো হয়েছে। যে যেখানে হ্যাঙ্গিং নামে একটি প্রসিদ্ধ মাউন্টেন এর পাশে গোল্ডেন নদী হয়ে বয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে এই বাড়িগুলো অনেক উঁচুতে বানানো হয়েছে। যাতে বন্যার সময় কোথাও কোনো ক্ষতি না হয়।
আঙ্গাসিমা
ফিলিপাইন সাগরের মধ্যে অবস্থিত এই আইল্যান্ডে থাকা আঙ্গাসিমা দুনিয়ার সবচেয়ে বাহাদুর গ্রাম রূপে নিজেদের চিহ্নিত করে ফেলেছে। এর উচ্চতা ৪২৩ মিটার এবং এটি প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। বলা হয় যে এটি ১৭৮০ সালে এখানে ফেটে যাওয়া আগ্নেয়গিরি এখানকার লোকেদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনার প্রায় পঞ্চাশ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও ফের এখানে লোক ফিরে এসে বাড়ি বানিয়েছে।
আন্ডিডল
এই শহরের গণনা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এবং রঙিন শহরের মধ্যে করা হয়। ঝিলের ঠিক মাঝামাঝি থাকা এই ঘরের কাঠের ঘর এখানে অত্যন্ত আকর্ষনীয় দেখতে। ১৯৮৮ সালের আগে পর্যন্ত কেবল নৌকায় যাওয়া সম্ভব ছিল। এখন এখানে লম্বা-চওড়া সড়ক তৈরি করা হয়েছে। যাতে বাইরের দুনিয়ার লোকেরা এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এখানে আসা টুরিস্ট বোটিং এর মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
আইসারটাক
গ্রিনল্যান্ডের আইসারটাক একটি স্বপ্নের মতো নগর। যেখানে পৃথিবীর ভিড়ভাড় থেকে আলাদা দূরে নির্জন জায়গায় এখানে জনবসতি গড়ে তোলা সহজ ছিল না। এখানকার বাসিন্দারা খাওয়ার জন্য শুধু মাংসের উপরই নির্ভরশীল ছিল। কারণ এখানে চাষাবাদ করা পরিস্থিতি নেই। কিন্তু আজ এখানে সুপার মার্কেট থেকে নিয়ে সমস্ত সুবিধা উপলব্ধ রয়েছে।