বিট সবাই খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু জানেন কি বিট স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি। এর বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে এটিকে সুপারফুডও বলা হয়। বিটের রসও বিভিন্ন উপায়ে শরীরকে উপকৃত করে।
রক্তচাপ হ্রাস করে বিটরুট। এর রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষকরা দেখেছেন যে প্রতিদিন যদি ২৫০ মিলিলিটার বিটরুটের রস খাওয়া যায়। তাতে সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ কম থাকে।
বিটে প্রাকৃতিকভাবে নাইট্রেট থাকে যা দেহের পেশীকে শক্তিশালী করে। ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে হার্টের অসুখ রয়েছে এমন রোগীকে বিটের রস খাওয়ানোর ২ ঘন্টা পরে তাঁর মাংসপেশীর শক্তি ১৩শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে বিটের রস খুবই কার্যকর। ২০১১ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, বিটরুটে পাওয়া নাইট্রেট প্রবীণদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ানোর কাজ করে যা স্মৃতিশক্তিকে ঠিক রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বিট রস। বিট রসে বেটালেইন থাকে যা একটি দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বেটালেইনের কেমো-প্রতিরোধক প্রভাব রয়েছে যা ক্যান্সারজনিত কোষগুলিকে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়।
বিটের রসে পটাসিয়াম ভর্তি। যা স্নায়ু এবং পেশীগুলিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। সঠিক পরিমাণে বিটের রস খেলে শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা ভাল থাকে।
অন্যান্য খনিজগুলির ভাল উৎস হল বিট। এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, দস্তা, তামা এবং সেলেনিয়াম। এই সমস্ত খনিজ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দাঁত এবং হাড়কে সুস্থ রাখে।
লিভার ঠিক রাখে বিট। বিটরুটে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা লিভারে ফ্যাট জমে যাওয়া রোধ করে। এটি লিভারকে টক্সিন থেকে রক্ষা করে।