যদি আপনার বাচ্চা স্লো লার্নার হয়, যদি কিছু মনে রাখতে পারে না, এমন হয়, যা পড়ে তা ভুলে যায়, তাহলে আপনার জন্য একটা সহজ উপায় রয়েছে। শুধুমাত্র এই জিনিসটি আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত খাওয়ালে করে দেবে শার্প এবং স্মার্ট।
স্বাস্থ্যের সম্পদ হলো দারচিনি। এমনিতে এটি সামান্য একটি মশলা। কিন্তু দারচিনির গুণ জানলে আপনারা চমকে যাবেন। শুধু গরম মশলায় খাবারের স্বা ও গুণ বাড়াতেই নয়, দারচিনি হল আমাদের রান্নাঘরের মহৌষধি। ঠিকভাবে ব্যবহার করলে দারচিনি জীবন বদলে দিতে পারে।
এমনিতে বিষয়টি সাধারণ যে আমরা অনেক সময় মা বাবারা, নিজের বাচ্চাদের অন্ধ বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করি। "ও এত ভাল করছে, তুমি এত ভাল পারছ না কেন, ওর এটা ভাল, তোমার এটা ভালো নয় কেন, ওর হাতের লেখা ভাল, তোমার হাতের লেখা খারাপ হচ্ছে কেন?", এ রকম তুলনা আমরা হামেশাই দিই। আমরা অনেক সময় জানা সত্ত্বেও এটা মেনে নিতে পারি না যে সব বাচ্চা সমান নয়। সবার আই কিউও সমান নয়। আবার যার আইকিউ ভাল, সে খুব ভাল পড়াশোনা বা গুণধর হবে তাও নয়। প্রত্যেকের শারীরিক এবং মানসিক গঠন আলাদা। তার বেড়ে ওঠার ধরণ আলাদা। এখানেই দারচিনির ভূমিকা রয়েছে। আসুন জেনে নিই।
দারচিনি-দুধ এর গুণ আপনাকে চমকে দেবে। এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট ও গবেষণায় জানা গিয়েছে যে বাচ্চাদের যদি প্রতিদিন কিছু মাত্রায় দারচিনি দেওয়া হয় তাহলে তাদের মানসিক বিকাশ অত্যন্ত ভাল হয়। এই গবেষণা আমেরিকার শিকাগো ইউনিভার্সিটি করেছে। গবেষণা রিপোর্টে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাতে দারচিনির এই গুণ অবাক করে দিয়েছে বলা হয়েছে যে দারচিনি নিয়মিত সেবন করলে মানুষের বিশেষ করে বাচ্চাদের শক্তি ভালো হতে শুরু করে এই গবেষণা প্রথমে ইঁদুরদের উপর করা হয়
এই পরিস্থিতিতে যখন পরীক্ষা কাছাকাছি চলে আসে এবং আপনি বোর্ড এক্সামের জন্য ভালো মার্কস চান, তখন দারচিনি আপনাকে দুর্দান্তভাবে সহায়তা করতে পারে। জানুন কীভাবে
১. বাচ্চাদের স্মার্ট বানায় দারচিনি। দারচিনিতে পলিফেনাল নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা দারচিনিকে সুপারফুডের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
২.দারচিনিতে রক্তে গ্লুকোজের স্তর কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
৩. এটি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাই গ্লিসারাইড এর স্তর কম হয়ে যায়। এর কারণে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট যুক্ত খাবারের প্রভাব কমতে থাকে।
৪. দারচিনি খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত হয় এবং এর কারণে শরীরে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমতে থাকে।