বডি ম্যাসাজের জন্যে তেলের উপকারিতা সম্পর্কে কম-বেশি সকলেই অবগত। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্র থেকে শুরু করে আমাদের মা-ঠাকুমাদের মুখেও আমরা তেল মালিশের উপকারিতা সম্পর্কে নানা কথা শুনেছি। এমনকি এখনও অনেক বাড়িতেই ছোটো শিশুদের তেল মাখিয়ে ম্যাসাজ করার রীতি প্রচলন আছে।
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ম্যাসাজ থেরাপি কার্যকরী। এটি একাধারে শরীরের হাড়কে শক্তিশালী করে, স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখে এবং পাকস্থলীর সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করে। তবে ম্যাসাজ করার জন্যে সঠিক তেল নির্বাচন করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন বিস্তারিত...
সর্ষের তেল
একটু চটচটে হলেও, সর্ষের তেল অন্যতম সেরা ম্যাসেজিং অয়েল। শরীরের প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে এটি সাহায্য করে। বিশেষ করে শীতকালে ত্বকে সর্ষের তেল লাগালে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। শুধু তাই না, এই তেলে উপস্থিত যৌগগুলি ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি আটকায়। সেই সঙ্গে চুল ও ত্বকের জন্যেও এটি ভালো।
নারকেল তেল
চুলের জন্যে নারকেল তেলের উপকারিতা সকলেরই জানা। এই তেল ত্বককে হাইড্রেট করে। নারকেল তেলে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল এবং ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
অলিভ অয়েল
যদি আপনি হালকা ম্যাসাজ করতে চান, তাহলে আপনার জন্যে অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভাল। এটি সহজে ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে না। অলিভ অয়েলের রয়েছে আরও উপকারীতা। তাঁর ফলে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য এই তেলই উপযুক্ত। এছাড়াও এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো, পেশীতে টান ধরা থেকে বাঁচানো, ব্যথা কমানোর সমস্যা দূর করে।
আমন্ড অয়েল
আমন্ড অয়েলে অন্যান্য তেলের মতো তীব্র গন্ধ নেই। এমনকি এই তেল খুব একটা চটচটে না। ত্বকের একেবারে গভীরে প্রবেশ করে রোদে পোড়া ত্বককেও সুস্থ রাখে এই তেল। সেই সঙ্গে এতে মজুত শক্তিশালী অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য আরও রোগের থেকে মুক্তি দেয়।
তিলের তেল
তিলের বীজ থেকে তৈরি হয় এই তেল। যার ফলে এতে তামা, ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ওমেগা-৩ ফ্যাট এবং প্রোটিনের মতো যৌগ বর্তমান।