কোভিডের (Covid 19) সময় থেকেই আমাদের সঙ্গী হয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এখন ঘরে ঘরে থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা দেখা যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে এখন পুরুষদের তুলনায় মহিলারা থাইরয়েডে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। এর ফলে শরীরে হরমোনের (Hormone) ভারসাম্যজনিত সমস্যা হয়। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া, গলা ফুলে যাওয়া, চুল পড়া, বিরক্তি, দুর্বলতা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ঠাণ্ডা লাগার মত সমস্যা, অবসাদ হতে পারে।
থাইরয়েডের কারণে ওজন যেমন বেড়ে যায়, তেমনই অনেকে আবার উল্টে ওজন কমেও যায়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ চৈতালি রঠৌর থাইরয়েডের মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারের কথা বলেছেন।
হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়া, বিরক্তি, দুর্বলতা এসব হল থাইরয়েডের অন্যতম উপসর্গ। দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রক্তে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ যদি ২.০-র র বেশি হলে হাইপোথাইরয়েডিজম বলা হয়। আর এর থেকে কম হলে তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম।
থাইরয়েড থাকলে খাদ্যভাষে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের রান্নাঘরে থাকা অনেক খাবারই এই সমস্যায় কাজ দেয়। তার মধ্যে রয়েছে কুমড়ো বীজ। কুমড়োর বীজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। এটি ভিটামিন ও খনিজ শোষণে সাহায্য করে। শরীরের থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই কুমড়ো বীজ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
খেতে পারেন আমলকী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। চুল আর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে আমলা। এছাড়াও শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য এবং থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে। রোজ সকালে খালি পেটে একগ্লাস আমলার জুস খেলে দারুণ কাজ দেবে।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে মুগ ডাল খেতে পারেন। মুগডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এছাড়াও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জটিল কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও অন্য খনিজ। মুগডালের মধ্যে আয়োডিন ও ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও আসে না।