সেদ্ধ ডিম প্রোটিনের ভাল উৎস হিসেবে বিবেচিত। পেশী শক্ত করা থেকে শারীরিক বিকাশে, প্রোটিন বড় ভূমিকা পালন করে। তাই একে প্রোটিনের রাজাও বলা হয়। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে ভালই জানেন। তবে আপনি কি জানেন সেদ্ধ ডিমের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অনেকেই বয়েল্ড এগ ডায়েট অর্থাৎ সেদ্ধ ডিমের ডায়েট করেন। এই বিষয় খুঁটিনাটি না জেনেই। তারা ভাবেন এতেই তাদের শরীরে উপকার হবে। তবে বহুক্ষেতেই এর ফলে হতে পারে বিপদ। সেই সঙ্গে ডায়েট থেকে আরও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার বাদ দিলে, সমস্যা বাড়তে পারে।
রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদ এরিন প্যালিনস্কি ওয়েডের মতে, প্রায়শই অনেকে ব্রেকফাস্টে ফলের সঙ্গে সেদ্ধ ডিম খায়। লাঞ্চ এবং ডিনারে, তারা এটি যে কোনও সবজি বা চর্বিহীন প্রোটিনের সঙ্গে পরিবেশন করে।
খাদ্য থেকে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে দিলে আমাদের ওজন কমতে থাকে। কিন্তু স্লিম ফিট থাকার জন্য এটিকে স্বাস্থ্যকর কৌশল বলা যায় না। প্যালিনস্কি বলেন, সেদ্ধ ডিমের ডায়েটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এর ওপর নির্ভর করে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পায় না।
বয়েল্ড এগ ডায়েটের কারণে আমাদের ডায়েট থেকে যে সমস্ত খাদ্য উপাদান বেরিয়ে যায় তা আসলে, ডিম ফোটানোর কারণে, প্রক্রিয়াজাত খাবার, আলু, ভুট্টা এবং মটরশুটির মতো সবজি বাদ পড়ে।
যারা সেদ্ধ ডিমের ডায়েট অনুসরণ করেন, তাদের কলা, আনারস, আম, ড্রাই ফ্রুটস এবং মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কেন এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়? নতুন একটি গবেষণা অনুসারে, হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য গোটা শস্য খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ওজন কমাতেও এটি কার্যকর।
দুটি সেদ্ধ ডিম একটি ভাল খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এটা কি সারাদিন খাওয়া ঠিক? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেশিরভাগ মানুষের জন্য এটি করা ঠিক না।মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে স্বাস্থ্য-উন্নয়নকারী পুষ্টির পাশাপাশি ডিমে কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে, যা আমাদের লিভার এবং হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
এছাড়া বমি সহ পেট সম্পর্কিত সমস্যাগুলির কারণ হতে পারে শুধু সেদ্ধ ডিম খাওয়া। অনেক বেশি ডিম খেলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায়, এটি অত্যধিক পরিমাণে খাওয়া কিডনির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকের ডিমে অ্যালার্জি থাকে, তাই ডিমের ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।