গাঁজার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেশে নেই। কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি হাইকোর্টে বলেছে যে এই গাছের অনেক চিকিৎসা এবং শিল্প ব্যবহার রয়েছে, তাই এটির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা নেই। আইনের অধীনে এর চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক ব্যবহার অনুমোদিত রয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টে গ্রেট লিগ্যালাইজেশন মুভমেন্ট ইন্ডিয়া ট্রাস্ট এই পিটিশন দায়ের করেছে। কিন্তু বিচারপতি রাজীব শাকধের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আবেদনের আগে শুনানি করতে অস্বীকার করে।
পিটিশনে আরও যুক্তি দেওয়া হয়েছে ক্যানাবিনয়েডস নামে গাঁজা থেকে প্রাপ্ত একটি উপাদান কোভিড -১৯ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় সহায়তা করে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে মার্চে। পিটিশনে মাদকদ্রব্যের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত NDPS আইনের বিধানকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যা আদতে গাঁজা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
কেন্দ্রীয় সরকার গত বছর একটি হলফনামার মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেছিল যে গাঁজা সংক্রান্ত মামলাগুলি পরিচালনা করছে। তাই এই সংক্রান্ত মামলাগুলো খারিজ করতে হবে।
কারণ কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকে উৎপাদন, পরিবহন, আন্তঃরাজ্য আমদানি-রফতানি, ক্রয়-বিক্রয়, চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক এবং শিল্প ক্ষেত্রে গাঁজা গাছ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
রাজ্য সরকারগুলিরও গাঁজা চাষের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তবে সেটি শিল্প ও চিকিৎসা ব্যবহার করার জন্যই লাইসেন্স দেওয়া হয়।
যেমন এমন লাইসেন্স দেয় উত্তরাখণ্ড সরকার। তারা শিল্প ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গাঁজা চাষের লাইসেন্স প্রদান করে। যা থেকে তৈরি পণ্য বাজারে এবং অনলাইনে বিক্রয়যোগ্য হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারও স্বীকার করেছে যে ক্যানাবিনয়েডগুলি কোনও রোগের প্রথম চিকিৎসা হতে পারে না। এছাড়াও সতর্ক করা হয়েছে যে এটি অ-চিকিৎসামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।