করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই স্ট্রেন অত্যন্ত সংক্রামক। তাই খুব সহজেই একজনের থেকে আরেকজনের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে। সাধারণ জ্বর, গায়ে ব্যথার লক্ষণ প্রাথমিকভাবে থাকার জন্য অনেকেই ভয় পাচ্ছেন করোনা ভেবে। সেক্ষেত্রে করোনা টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন।
খুব উচ্চ তাপমাত্রা, বারবার কফের প্রাদুর্ভাব, স্বাদ ও গন্ধ না থাকার লক্ষণগুলি করোনার খুব সাধারণ উপসর্গ। করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের এই উপসর্গের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পেট খারাপ। এবার জেনে নেওয়া যাক সাধারণ জ্বর আর করোনা ভাইরাসের জ্বরের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
অনেক সময় জ্বর একশোর গণ্ডি পেরোয় না এবং বারবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেই জ্বর সবসময় করোনাভাইরাস নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বারবার তাপমাত্রা মাপা উচিত। অন্য কোনও কারণেও হতে পারে।
সাধারণ জ্বর, ঠান্ডা লেগে জ্বর ও করোনার মধ্যে তফাৎ রয়েছে। জ্বরের ক্ষেত্রে কফের আধিপত্য থাকে শরীরে। সাধারণ জ্বর হলে হঠাৎ করেই জ্বর হয় এবং গায়ে হাত পায়ে ব্যথা, মাথায় যন্ত্রণা, নাক দিয়ে জল পড়া, গলায় ব্যথা হয়।
এসব ক্ষেত্রে কয়েকদিনের মধ্যে জ্বর কমে যায়। শরীর দুর্বল করে দেয় যদিও। গলা ব্যথা কিংবা নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা থাকে। তবে খুব উচ্চ তাপমাত্রা হয় না।
করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে কফ খুব মারাত্মক হয়। যাদের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বুকে চাপ অনুভূত হয়। সমস্যা যদি আরও গুরুতর হতে শুরু করে তাহলে অবিলম্বে করোনা টেস্ট করান।
হাঁচি কিংবা কাশি কিন্তু করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নয়। সঙ্গে কফ, উচ্চ তাপমাত্রা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া কোভিডের লক্ষণ। এই লক্ষণগুলি থাকলে অবিলম্বে নিজেকে আইসোলেট করুন।
নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াও অন্যতম লক্ষণ। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে হয় না এমনটা। অনেকসময় আবহাওয়া পরিবর্তনে এই উপসর্গগুলি দেখা যায় ঠিকই কিন্তু ভয়ের কিছু হয়। আইসোলেট রাখাই শ্রেয়।
করোনা ভাইরাসের উপসর্গ মৃদু থেকে গুরুতর হতে পারে। চিকিতসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি তাই। এই পর্যায়ে খুব দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।