রাজ্য সরকার যখন ডুয়ার্সের পর্যটনের উন্নয়ন নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহন করছে, তখন ঠিক তার বিপরীত চিত্র আলিপুরদুয়ার জেলার সবচেয়ে বড় রত্নেশ্বর ঝিলের।
সরকারের চরম উদাসীনতায় বেহাল দশা রত্নেশ্বর ঝিলের। ২০১৬ সালে ঢাকঢোল পিটিয়ে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে রত্নেশ্বর ঝিলের সংস্কার শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে সরকারের সেই প্রকল্প।
আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন এক নম্বর ব্লকের বীড়পাড়ায় অবস্থিত জেলার এই সবচেয়ে বড় রত্নেশ্বর ঝিলের পরিধি ৩৭একর। ২০১৬ সালে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ঝিলটির সংস্কার শুরু করে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন।
ঝিলের চারপাশে তৈরি করা হয় গার্ডওয়াল। তারপর ঝিলটিকে উঁচু পাচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এরপর ঝিলের মধ্যে থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়।
তারপরেই অজানা কারণে ঝিলের উন্নয়নের কাজ থমকে দাঁড়ায়।২০১৭ সালে ঝিলের চারপাশের ওয়াল ভেঙে পড়ে।এবং ঝিলের কচুরিপানা ফের আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
আলিপুরদুয়ার জেলার এই ঝিলটিকে কেন্দ্র করে পর্যটনের প্রভূত সম্ভাবনা থাকলেও সরকারের উদাসীনতায় আজও সেই প্রকল্প বিশবাঁও জলে।
এই ঝিলের চারপাশে রয়েছে সংরক্ষিত একটি জঙল। এই জঙলে প্রতিদিন গড়ে কয়েক হাজার পাখির দেখা মেলে।প্রতিবছর পরিযায়ী পাখি ডেরা বাঁধে এই ঝিলের ফাঁকা জলাশয়ে।
এলাকার এক স্থানীয় মহিলা ধলেশ্বরী অধিকারী বলেন উন্নয়নের নামে কয়েক কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে এই ঝিল সংস্কারের নামে।
মাত্র এক বছরেই ঝিলের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে।
এই ঝিল সংস্কার হলে এলাকার উন্নয়ন হতো। এই ভাবে সরকারি টাকা অপচয়ের কোন মানে হয় না। সম্ভাবনা থাকা সত্বেও এভাবে অপচয় মানা যায় না।
এলাকার স্থানীয় যুবক কমল দাস বলেন এই ঝিল সংস্কার হলে এলাকার বেকার যুবকদের যেমন কর্মসংস্থান হতো অন্য দিকে এই এলাকার উন্নয়ন হতো।
এই ঝিল সংস্কারের নামে কয়েক কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। কমল বলেন সরকার পর্যটনের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প গ্রহন করেছে।
অথচ জেলার একমাত্র এই ঝিল সংস্কার করে পর্যটনের উন্নয়নের কথা ভাবছেন না। ভাবলে প্রচুর চাহিদা ছিল পর্যটকদের। জায়গা দেওয়া যেত না।
এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সোমা দে সরকার বলেন ব্লক ও জেলা প্রশাসন একযোগে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে এলাকার সংষ্কার শুরু করেছিল।
২০১৭ সালের বন্যায় ঝিলের সমস্ত ওয়াল ভেঙে পড়ে। তারপর সেই যে কাজ বন্ধ হল, চার বছর পরও তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই।